ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসু নির্বাচনের কথা ভাবছে ঢাবি প্রশাসন
২০২৫ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কথা ভাবছে প্রশাসন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দিতে চাই; কারণ আমাদের অনেক কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি প্রয়োজন হয়। শিক্ষার্থীরাও যেন তাদের প্রতিনিধি নিয়ে আমাদের কাছে আসতে পারে এবং ডাকসু একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক প্লাটফর্ম, যেখানে ছাত্রদের বৈধ প্রতিনিধি থাকে। তারা প্রশাসনের বিভিন্ন বডিতেও থাকেন।”
তিনি বলেন, “আমরা জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির কথা ভাবছি। সময়টি মাথায় না থাকলে আমরা কোন কাজ কতদিনে গোছাব, তা ঠিক করতে পারব না।”
ডাকসু নির্বাচনের জন্য কমিটি কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি চর্চার ধরন কেমন হবে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি অবসরপ্রাপ্ত মো আব্দুল মতিনকে আহবায়ক করে একটি কমিটি কাজ করছে। ডাকসু নির্বাচনও তাদের ম্যান্ডেটের মধ্যে আছে। এখানে একটা আরেকটার সাথে জড়িত। সেকারণে আমরা তাদেরকে দ্রুত কাজ করতে বলেছি।
তিনি বলেন, “ওনারা শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের সাথে বসবেন। বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সাথে বসে তারা আমাদের একটি পথ নির্দেশনা দিবেন। সেসব নিয়ে আমরা ডাকসুর বিষয়টি চূড়ান্ত করব।”
প্রক্টর বলেন, “ডাকসুর বিষয়ে অনেক মতামতও এসেছে। গঠনতন্ত্র নিয়ে অনেক মতামত এসেছে। উপাচার্য এর প্রধান হিসেবে থাকতে পারবেন কি-না, দলীয় প্যানেল ব্যবহার করতে পারবেন কি-না এভাবে অনেকগুলো ব্যপার আলোচনায় আছে। আমরা চাই এগুলো এই কমিটির কাছেও আসুক। আমরা আমাদের ভাবনাটাকে সেকারণে স্পষ্ট করেছি, যেন প্রস্তুতিটা নেওয়া যায়।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক বৈঠকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চেয়ে ঐক্যমতে পৌছায় ক্রিয়াশীল একাধিক ছাত্রসংগঠন। ছাত্রদল এই বৈঠকে অংশ নেয়নি। তবে এখনই নির্বাচন না দিয়ে ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে ছাত্রদল।
কেএইচ/এসএমডব্লিউ