অভ্যুত্থানের পূর্বাপর প্রদর্শনীতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস, বাড়ল সময়
দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদযাপিত হচ্ছে। প্রদর্শনীতে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের জীবন্ত তোলা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও প্রশংসার জন্ম দিয়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের নেতা, সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে প্রদর্শনীর পরিবেশ।
জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর রোববার (৮ ডিসেম্বের) ছিল দ্বিতীয় দিন। তবে দর্শকদের ব্যাপক সাড়া এবং অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ও ৮ ডিসেম্বরের প্রদর্শনীটি আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।
ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত দ্বিতীয় দিনের প্রদর্শনী দেখতে আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র জনাব রাশেদ প্রধান, জামায়াতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির আব্দুল জব্বার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির আহ্বায়ক আহম্মেদ শাকিল (এমএ) সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা।
আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শামসুল আলম, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নুর খান লিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবায়দুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন মনামীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের নানা দিক নিয়ে সাজানো প্রদর্শনী দেখেত আরও আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ, প্রসিকিউটর এসএম মইনুল করিম, প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের (এলডিপি) কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কামরুল হাসান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কেএম ইমরান হুসাইন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুর) ঢাবির নেতারা, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের (ইরান) কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আসিক আল আবিদ, স্টুডেন্ট অব সোবারইগনিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ ইরাকুব মজুমদারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদর্শনীতে আগত নেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, সারা দেশের আন্দোলনের চিত্রগুলো এখানে নিখুঁতভাবে এক জায়গায় তুলে ধরা হয়েছে, যা বিপ্লবের স্মৃতিকে সবার মনে জীবন্ত করে তুলেছে। এমন আয়োজন আরও বেশি হওয়া দরকার।
প্রদর্শনীতে সংরক্ষিত আলোকচিত্রগুলোতে আন্দোলনকারীদের আত্মত্যাগ, শহীদদের স্মৃতি এবং দীর্ঘ ১৬ বছরব্যাপী আওয়ামী লীগের একদলীয় স্বৈরশাসনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
জেইউ/এসএম