হাইকমিশনে হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ, হামলাকারীদের বিচার এবং বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া সহকারী হাইকমিশনে হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের দূতাবাস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন
ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে সার্বভৌমত্বের বাংলাদেশ অর্জন করেছি আমরা। তখন থেকেই ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে আসছিল। ২৪-এর অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে সেটা কবর দিয়েছি। হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়ে তাকে পুনর্বাসন করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।
তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাদের তিন দিক থেকে ঘিরে আছেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন। কিন্তু ভুলে যাবেন না, আপনাদেরকে চারদিকে ঘিরে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীনসহ অন্যান্য দেশ। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তারাও এর কঠোর প্রতিবাদ করবে।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করে। তারা নাকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিল। মূলত পাকিস্তান থেকে আলাদা করে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে সেই আশায় তারা সহায়তা করেছিল।
হাসিনার পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যের পতন হয়েছে বলে জানান ঢাবি শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া। তিনি বলেন, হাসিনা থাকাকালীন ভারত বাংলাদেশের বন্দরগুলো নামমাত্র মূল্যে ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন তা পারছে না। যার জন্য তাদের মাথা গরম হয়েছে।
কেএইচ/এমজে