তিন মাসের ব্যবধানে মাংসের ভোগ কমেছে প্রায় অর্ধেক
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে এস আলম গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৭৩ হাজার ১১৩ কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ। তবে এর বিপরীতে জামানত দেওয়া সম্পদের মূল্য মাত্র ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকে এখন নিরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও তদন্ত চালাচ্ছে। তাদের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
৪ হাজার কোটি জামানত রেখে ৭৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ
কেবল একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যেভাবে একটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লুটপাট করেছে, তা দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হিসেবে ইতিমধ্যেই পরিচিত পেয়েছে। আর এই লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সমর্থনে। ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে ঋণ বের করার ক্ষেত্রে আর্থিকখাতের আইনকানুন ও নিয়মনীতির বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
বণিক বার্তা
তিন মাসের ব্যবধানে মাংসের ভোগ কমেছে প্রায় অর্ধেক
সরকারি একটি ব্যাংকের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আবুল কালাম। আগে প্রতি সপ্তাহে মাংস কিনলেও এখন মাসে কেনেন দুবার। বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি থাকায় কমেছে ক্রয়ক্ষমতা। ভোগপ্রবণতায় তাকে বেশ সতর্ক হতে হয়েছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনায় অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে প্রায় অর্ধেক কমিয়েছেন মাংস খাওয়া।
ক্রেতাদের এমন হিসাবি পদক্ষেপে বিক্রেতাদের বিক্রিও কমেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনপ্রিয় মাংস বিতানে আগে দৈনিক ১৫-২০টি খাসি বিক্রি হলেও এখন তা নেমেছে ৮-১০টিতে। বিক্রেতা সুমন মিয়া জানান, এখন কাস্টমার কম, তাই বেচাবিক্রিও কম। পাশের ‘মা-বাবার দোয়া মাংস বিতান’-এ আগে দিনে তিন-চার মণ মাংস বিক্রি হতো। এখন তা আড়াই-তিন মণে নেমে এসেছে। বিক্রেতা এনামুল জানালেন, আগে মানুষের কাজকাম ছিল তাই মাংস কিনত। এখন হয়তো কাজ-আয় কমেছে, তাই মাংস বিক্রিও কমেছে।
বণিক বার্তা
সরকারি ব্যয়ের ৫১ শতাংশ খরচ হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে
ঋণের সুদ বাবদ সরকারের ব্যয়ের বোঝা ক্রমেই স্ফীত হয়ে উঠছে। একসময় সরকারের পরিচালন ব্যয়ের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থ ব্যয় হতো ঋণের সুদ পরিশোধে। কিন্তু চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পরিচালন ব্যয়ের অর্ধেকের বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে এ খাতে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুসারে চলতি অর্থবছরে সরকারকে সবচেয়ে বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সামনের দিনগুলোয় ঋণ ও সুদ পরিশোধের চাপ আরো তীব্র হয়ে ওঠার শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আহরণ পরিস্থিতিকে আরো সঙ্গিন করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় সরকারকে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি রাজস্ব বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
বণিক বার্তা
নতুন হিসাবে নিট প্রবাহ কমেছে ৫০ শতাংশ
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করেই ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাবায়ন করত বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে গত বছর তা নতুন পদ্ধতিতে শুরু হয়। এতে রিজার্ভ কমে যায় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। বিদেশী বিনিয়োগের হিসাবের ক্ষেত্রেও নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ফলে বদলে গেছে বিদেশী বিনিয়োগের নিট প্রবাহ পরিসংখ্যান, কমে গেছে ৫০ শতাংশ।
সমকাল
শেখ পরিবার ও ৯ গ্রুপের সম্পদের খোঁজে ১০ টিম
পরিবারের সদস্যসহ শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার দেশে-বিদেশে সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য তিন সংস্থার সমন্বয়ে ১০টি টিমও গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এসব টিম আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে। অনুসন্ধানের তালিকায় আছে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নামও। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ সাতটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপের সম্পদের খোঁজও নেবে এই টিম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন, রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচারে সন্দেহভাজন গত সরকারের সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে অনুসন্ধানে এসব টিমের কার্যক্রম সমন্বয় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আর আইনি সহায়তা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। অনুসন্ধানের আওতায় আনা প্রভাবশালী বেশির ভাগের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ।
কালের কণ্ঠ
১৫ বছরে দেড় লাখ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সেবা খাতে এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) খানা জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সেবা খাতের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হচ্ছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ গড় ঘুষ গ্রহণকারী হচ্ছে বিচারিক সেবা, ভূমি ও ব্যাংকিং খাত।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ
পুলিশ সংস্কার কমিশনের ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক অনলাইন জনমত জরিপের ফল সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। জরিপে সর্বাধিক মতামত পড়েছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, আইনের প্রতি অনুগত, নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত পুলিশের পক্ষে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। জরিপের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ এবং ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ মানুষ।
কালবেলা
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বেস্ট হোল্ডিংসে ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকসহ পাঁচ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ম লঙ্ঘন করে তাদের সহযোগিতা করেছে। রাজনৈতিক চাপের এই বিনিয়োগে ব্যাংকগুলো জনগণের আমানত থেকে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেস্ট হোল্ডিংসে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ৫০০ কোটি, জনতা ব্যাংক ৫০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংক ৩৭৫ কোটি, রূপালী ব্যাংক ৩০০ কোটি ও বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংক বিনিয়োগ করে ১০০ কোটি টাকা। এসব অর্থ দিয়ে ব্যাংকগুলো মোট ২৭ কোটি ৩০ লাখ ৭৭ হাজার শেয়ার ক্রয় করে। এতে ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার লোকসান গুনেছে এসব ব্যাংক, যা জনগণের আমানতের অপচয়।
যুগান্তর
১৬ বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি
চট্টগ্রামে পরিবহণ খাত থেকে একটি চক্র চাঁদাবাজির মাধ্যমে ১৬ বছরে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নামে শক্তিশালী সিন্ডিকেট বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস টেম্পো-টেক্সি, মিনিবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। সিন্ডিকেটে পরিবহণ শ্রমিক নামধারী ২০০ জন জড়িত। লাইন পরিচালনা, প্রশাসন ম্যানেজ করা এবং শ্রমিককল্যাণের নামে বিভিন্ন নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত ও নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে তারা চাঁদা আদায় করে। তবে চাঁদার এক কানাকড়িও শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যবহার করা হয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, করোনা মহামারির সময়ও শ্রমিকরা কোনো টাকাপয়সা পাননি।
এছাড়া লাইসেন্স বাতিল ৭০০ আগ্নেয়াস্ত্রের: জাতীয় ঐক্য গঠনে ড. ইউনূস সংলাপে বসছেন; ছিলেন না আইনজীবী / চিন্ময়ের জামিন শুনানি এক মাস পেছাল; সহায়তা পেয়েও টাকা দিতে পারছে না দুর্বল ব্যাংক; ডিএমপি কমিশনার / জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ; ডেঙ্গুর এনএস-১ পরীক্ষার অর্ধেক রিপোর্টই ভুল; বিএনপির জন্য আগামী নির্বাচন কতটা কঠিন—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।