মেগা প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাট
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দল দমনে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের শাস্তি চেয়েছেন ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
বিক্ষোভ মোকাবিলা ও বিরোধীদের দমনে বল প্রয়োগ করায় পুলিশ সদস্যদের শাস্তি চান ৭১.৫% মানুষ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক এক জনমত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
কালের কণ্ঠ
আবাসিক সুবিধাবঞ্চিত ৫৫% ছাত্রী
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। তাই সুযোগ পেলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দেশের যেকোনো প্রান্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হন। শুধু ছাত্র নয়, ছাত্রীরাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। অনেক ছাত্রী বাড়ি থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, যেখানে তার পরিচিত কেউ নেই।
বণিক বার্তা
দুই মাসে যুক্তরাজ্যে ১৯৯ প্রপার্টির ঋণ পরিশোধ করেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী
যুক্তরাজ্যে প্রপার্টি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি নগদে অর্থ পরিশোধের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ পরিশোধ করে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হয়। সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ ঋণের বিপরীতে বন্ধক হিসেবে ওই সম্পদের ওপর ‘রেজিস্ট্রেশন অব চার্জ’ আরোপ করে। এটি আরোপের মধ্য দিয়ে ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে বন্ধকি সম্পদ বিক্রির অধিকার পায় সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান। রেজিস্ট্রেশন অব চার্জ আরোপের পর পুরো অর্থ পরিশোধ করা হলে তখন ‘স্যাটিসফ্যাকশন অব চার্জ’ গঠন করা হয়।
আজকের পত্রিকা
মেগা প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা লোপাট
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে যে উন্নয়নের প্রচার করা হতো, তা দেশে-বিদেশে প্রশংসা কুড়ালেও প্রকৃতপক্ষে একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। উন্নয়নের বয়ানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অন্তত ২৮ রকম উপায়ে দুর্নীতি সংঘটনের তথ্য খুঁজে পেয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশের সাতটি মেগা প্রকল্প। এসব প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সম্পদের অপচয় হয়েছে। প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করা হয়নি, এ ছাড়া খরচ বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। আর এই খরচ বাড়ানোর আড়ালে দেশের প্রায় লাখ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে আসে।
বণিক বার্তা
বিশেষ আইন বাতিল হয়েছে, বৈধতা পেয়েছে হাসিনা আমলের সব চুক্তি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ বাতিল করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সই করা অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে গত ২৮ নভেম্বর। অধ্যাদেশে বিতর্কিত আইনটি বাতিলের ঘোষণা দেয়া হলেও এর আওতায় চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম চালু থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বৈধ বলে গণ্য করা হবে এ আইনের আওতায় করা চুক্তিগুলোকেও। তবে অধ্যাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিতর্কিত এ বিশেষ আইনের অধীনে করা চুক্তিগুলো জনস্বার্থে পর্যালোচনা ও এ-সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
প্রথম আলো
দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে অন্তত ৬০০ কোটি ডলার নয়ছয় হয়েছে। ডলারের বিপরীতে বর্তমান টাকার দর ধরে যা প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা (১ ডলার সমান ১২০ টাকা ধরে)। এর মধ্যে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ দিতে কমিশন হিসেবে লুটপাট হয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। আর বিদ্যুৎকেন্দ্র না চালিয়ে কেন্দ্রভাড়া ও অতিরিক্ত মুনাফা হিসেবে বেসরকারি খাত নিয়ে গেছে বাড়তি ৩০০ কোটি ডলার।
বণিক বার্তা
সড়কে আয়ের মাত্র ২১% ব্যয় হয় রক্ষণাবেক্ষণে
দেশে সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে সরকার। জ্বালানি তেল ও যানবাহন থেকে শুল্ক, কর ও নিবন্ধন ফি আদায় এবং টোল বাবদ আয় হয় এ অর্থ। যদিও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয় তার মাত্র ২১ শতাংশ বা ৮ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। ফলে দেশের সড়ক নেটওয়ার্কের একটি বড় অংশই থেকে যাচ্ছে ভাঙাচোরা দশায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সড়ক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের এ তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন
আজকের পত্রিকা
সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বছরে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন দেড় শতাধিক পরিবার
২০২০ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স আরোহী হিসেবে একসঙ্গে পুরো পরিবার বা এক পরিবারের একাধিক সদস্য নিহতের প্রবণতা বাড়ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, গত পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
কালের কণ্ঠ
দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ ১০% মানুষের কাছে
১০ শতাংশ মানুষ দেশের ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে। আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র চালিয়েছেন। চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো কাঠামো।
সমকাল
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে অসন্তুষ্ট ৪৪.৯ শতাংশ মানুষ
অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ৪৪.৯ শতাংশ মানুষ এবং এ সেবা সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন ২২ শতাংশের বেশি মানুষ। এছাড়া জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সেবায় সন্তুষ্ট নয় ৩২.৪ শতাংশ মানুষ, এতে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ৫৬.৬ শতাংশ মানুষ।
কালের কণ্ঠ
বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনেও এ তথ্য উঠে এসেছে। আর এ খাতকে ডুবিয়ে দিতে বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। নামে-বেনামে ঋণ বের করা, বিদেশে অর্থপাচারসহ কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
কালবেলা
ম খা আলমগীরের হাতেই শুরু হাসিনা প্রশাসনের পচন
অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে দেশকে ‘চামচা পুঁজিবাদ’ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। আইনসভা, নির্বাহী বিভাগসহ সবাই গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে চুরির অংশ হয়ে গেছে। এটাই চোরতন্ত্র। এজন্য রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং উর্দি পরা কিংবা উর্দি ছাড়া আমলারা সহযোগী ছিলেন। এই চোরতন্ত্রের উৎস ২০১৮ সালের নির্বাচন। গত সাড়ে ১৫ বছরে রাজনীতিবিদদের চেয়ে আমলারা বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন বলে মনে করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
টিবিএস
২০২৪–২৫ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫.২৫ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে নির্ধারণ
রাষ্ট্র পরিচালনায় সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর আর্থিক সংকট, ব্যবসায়িক স্থবিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে এ হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছিল।
অক্টোবর থেকে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে অবস্থান করছে। আশা করা হচ্ছে, অর্থবছরের শেষে এটি কিছুটা কমে ৯ শতাংশে নামবে। তবে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের তৈরি করা বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
এছাড়া থানা লুটের অস্ত্রে খুন করা হয় সাহিদাকে; ছেলেকে ক্ষমা করে বিতর্কের মুখে বাইডেন; ৫০টির বেশি গুমে জড়িত র্যাবের ফারুকী-আলেপ; এডিসের প্রজনন বেশি বহুতল ভবনে; মারণাস্ত্র ও ছররা গুলি নিষিদ্ধ চান ডিসিরা; প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ / রেলের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল; এবার বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া ১৩৫ কোটি রুপি চাইল ত্রিপুরা—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।