৫৪ ধারাকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য মনে করেন ৮২.৫ শতাংশ মানুষ
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন শতকরা ৮২.৫ শতাংশ মানুষ। এই ধারাটি যুগোপযুগী সংস্কার চান ৪৬.২ শতাংশ মানুষ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত জনমত জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের শতকরা ৮২.৫ শতাংশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধরা বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন। উত্তরদাতাদের ৪৬.২ শতাংশ ধারাটি যুগোপযুগী সংস্কার চান। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযুগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
এতে আরও দেখা গেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারায় পুলিশ হেফাজতে বা রিমান্ডে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের ধারাটি সংশোধন/সংস্কার চান ৯১.৭ শতাংশ উত্তরদাতা। এর মধ্যে ৮০.৯ শতাংশ উত্তরদাতা নারী আসামিকে যথেষ্ঠ শালীনতার সঙ্গে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের পক্ষে মতামত দিয়েছে। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতি থানায় স্বচ্ছ কাঁচের ঘেরাটোপ ব্যবস্থা সম্বলিত আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ থাকার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮০.২ শতাংশ মতামত এসেছে।
এছাড়া তল্লাশির সময় পরিচয় দিতে অস্বীকার করলে বা বিনা সার্চ ওয়ারেন্ট তল্লাশি করতে চাইলে তার প্রতিকারে একটি কার্যকর কল সার্ভিস চালুর পক্ষে সর্বাধিক ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন। সে সঙ্গে আরও দুটি বিষয়ে তারা ব্যবস্থা চান; (১) অভিযানের সময় জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ও ভিডিও রেকর্ডিং ডিভাইসসহ পোশাক পরিধানের ওপর জোর দিয়েছেন (৭৭.৪ শতাংশ) (২) রাতের বেলায় গৃহ তল্লাশি করার ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বা গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি অপরিহার্য চায় ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা। জনমত জরিপে প্রাপ্ত মতামত অন্তর্ভুক্ত করে প্রবিধানমালা জারির ব্যবস্থা সুপারিশ করা যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬.৬ শতাংশ। তবে উত্তরদাতাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুরুষ। উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬.৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭.২ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৭.৬ শতাংশ এবং ৭.১ শতাংশ উল্লেখযোগ্য। এসব উত্তরদাতাদের সর্বাধিক ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়।
এমএম/এসএম