স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি
এমপিও নীতিমালার শর্তগুলো শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. মনিমুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক পরিচালক ফকির নাসির উদ্দিন, নন-এমপিও আন্দোলনের শিক্ষক আব্দুল বারী তালুকদার, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ সালে বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৪ বছরে কোনো আবেদন নেওয়া হয়নি। বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশেষ বিবেচনায় অনৈতিকভাবে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আবেদন না নেওয়ায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না।
বক্তারা আরো বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সর্বস্তরে বৈষম্য নিরসনে কাজ করছে। আমরা নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। তাই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সব শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আমাদেরকে এই দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
তারা বলেন, আমরা নন-এমপিও শিক্ষকরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ সরকারের সব কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি। সরকারের কাছে মানবিক বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।
ওএফএ/জেডএস