নৌ খাতে সংগঠনগুলোর সংস্কার চান নাবিকরা
নৌযান নাবিকদের তহবিলের টাকায় গড়ে ওঠা সব নাবিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে দাবি করে এগুলোর সংস্কার চান সাধারণ নাবিকরা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ নাবিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে, বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নুরজাহান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নসহ নো-সেক্টরের অন্যান্য সংগঠনগুলোর সংস্কার চায় সাধারণ নাবিকরা। এছাড়া আরও ৪টি দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন
পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— নৌযানের নাবিকদের নাবিক হিসেবে শ্রম আইনের শিল্প সংক্রান্ত অধ্যাদেশে নাবিক হিসেবে সংযোজন করা। নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের অ্যাকাডেমিক নিয়োগ বাণিজ্য পরীক্ষা ও সনদ বাণিজ্যে দুর্নীতির বন্ধ করতে হবে। ডিসপেনশন প্রথা বাতিল করে শিক্ষা ও যোগ্যতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে করতে হবে। ভারত বাংলাদেশ নৌ-প্রটোকল লাইনের জাহাজগুলোর নাবিকদের ল্যান্ডিং পাসের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জাহাজের সার্ভে সনদ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর জাহাজে দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার, ড্রাইভার ও লোকবল বৃদ্ধি করতে হবে। মেরিন কোর্ট, মেরিন পরিদর্শক ও নৌ-পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক নেতারা বিভিন্নভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে নাবিকদের ন্যায্য অধিকার হরণ করছে। উল্লেখযোগ্য বেসরকারি নৌযান নাবিকদের ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ সরকারের পাশ হওয়া গেজেটে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ নাবিক গেজেট অনুযায়ী বেতন পায়নি। মালিকরা সরকার ঘোষিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাষ্ট্রের আদেশ অবমাননা করেছে।
বক্তারা বলেন, আমাদের শ্রমিক সংগঠনগুলো আমাদের নাবিকদের কথা চিন্তা না করে মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে সিরিয়াল প্রথা নামে গত ৫ নভেম্বর থেকে অরাজকতা সৃষ্টি করে। নাবিকদের চাকরি সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতিমালা গ্রহণ না করে নাবিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।
মানববন্ধনে সাধারণ নাবিক ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও কোর্ট মাস্টার মো. রাসেল, সহ-সমন্বয়ক রহমত আলীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এমএসএ