চট্টগ্রাম ওয়াসায় অফিসের কাজ ফেলে শ্রমিক দলের সভা
অফিসের নির্ধারিত সময় তখন। নিয়ম অনুযায়ী চাকরিজীবীরা কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন নিজের কর্মস্থলে। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসায় হয়েছে ঠিক তার উল্টো। অফিসের কাজ ফেলে রেখে পালিত হলো রাজনৈতিক সভা। এতে অংশ নিয়েছেন ওয়াসায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী দলের সদস্যরা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী দলের ব্যানারে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনাসভা আয়োজন করা হয়। এই সভা চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ওয়াসার মূল ভবনের পাশের ভবনেই আয়োজিত হয় এই সভা। রীতিমতো মাইক লাগিয়ে দীর্ঘক্ষণ নেতাদের বক্তব্য চলায় অফিসের কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে শ্রমিক দল ও বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
অফিস ও পাম্পের কাজ ফেলে রেখে অফিস চলাকালীন রাজনৈতিক সভা করা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ সভায় যোগ দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মোহাম্মদ নাজিমুর রহমান ও শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ নাজিমুর রহমান জানান, কর্মকর্তারা অফিসে সব সময় সভা করতে পারলে কর্মচারীরা করতে পারবেন না কেন।
ওয়াসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস গত হয়ে গেলেও মাসের শেষদিকে এসে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এ সভা করা হয়। এতে অফিসের নিয়মিত কাজ ও পানির পাম্পের দায়িত্ব ফেলে রেখে সভায় যোগ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। এ সভায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর যোগদানের কথা থাকলেও তিনি যাননি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারী মো. শিহাব জানান, অফিস চলাকালীন সময়ে এ ধরনের সভা-সমাবেশ কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না।
সভার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সংগঠনকে অফিস টাইমে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ অফিস টাইমে সভা করার অনুমতি আমরা নিয়ম অনুযায়ী দিতে পারি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী দলের সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা ৭ নভেম্বর উপলক্ষ্যে সভা করেছি। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসিয়াল কাজকর্মে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর আমরা ওয়াসার মূল ভবন লাগোয়া নির্মাণাধীন ভবনে সভা করেছি।
আরএমএন/এমজেইউ