ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে আইনজীবী নিহতের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড় থেকে শুরু করে পল্টন ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ইসকন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। গত কয়েক দিন তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। আমরা দেখছি কোনোভাবেই সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। আজকে চট্টগ্রামের আদালতে এমন পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হলো, আগে থেকেই কেন নিরাপত্তা জোরদার করা হলো না? সরকারকে বলবো, আপনারা দেশ চালাতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক দিন যাবত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। আমাদের প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাজ কি? উনি দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুক। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও ইসকন যৌথভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করতে পারে, তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভারত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়, সেটা হতে দেওয়া যাবে না।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম কোর্ট প্রাঙ্গণে ইসকনের উগ্রবাদী সদস্যরা আইনজীবী ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় ছিল? কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীরা যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে কোথায় তারা নিরাপদে থাকবে? ইসকনের উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই সকল উগ্রদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার মাস্টারমাইন্ড ভারতে পলাতক স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। ইসকনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা। আমরা এই হত্যার বিচার দাবি করছি পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত ছাত্র-জনতা রুখে দিয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করবে।
ঢাকা কলেজের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইয়াসিন বলেন, ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চট্টগ্রামের হত্যার বিচার না হলে চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেব।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবনেতা রাসেল মুন। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, যুবনেতা মাহবুবুর রহমান, শ্রমিকনেতা রুবেল, ছাত্রনেতা সিরদাতুল রাজ প্রমুখ।
এমজেইউ