সাতকানিয়ায় চোখের চিকিৎসা পেলেন ৩০০ রোগী
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মধ্য গারাংগিয়া হাতিয়ারপুল এলাকায় দিনব্যাপী চক্ষু ও চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে মধ্য গারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় ৩ শতাধিক মানুষের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। একই স্থানে মেডিকেল ক্যাম্পে ১০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. সাখাওয়াত হোসাইন টুটুল।
কক্সবাজার শাহ মজিদিয়া প্রেসের মালিক ব্যবসায়ী নুরুল হক, সাতকানিয়া ইউনাইটেড আইডিয়াল একাডেমির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও অ্যালায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিইও ইঞ্জিনিয়ার জিল্লুর রহমানের ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল, স্পৃহা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুল ইসলাম, ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. নাছির উদ্দীন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের সিনিয়র মাঠ কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ পালসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ জনের একটি দল চক্ষুসেবা ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা দেন। এই চিকিৎসা ক্যাম্পে কম্পিউটারের মাধ্যমে চোখের ছানি পড়া, গ্লুকোমা, নেত্রনালী ও চোখের মাংস বৃদ্ধি রোগে আক্রান্ত ৩০০ রোগীকে পরীক্ষার পর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে ৫০ জন রোগীকে চোখে লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে চোখের অস্ত্রোপচার করার জন্য কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিজস্ব পরিবহনে। হাসপাতালে ফ্রি চোখের ছানি অপারেশন করা হবে।
চিকিৎসা ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সমিতি কক্সবাজারের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দীন, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সমাজসেবক সোলতান আহমদ সওদাগর, মধ্য গারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু কান্তি দাশ, সুজন কান্তি সুশীল, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হাকীম, ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মো.জাবেদ, সাবেক সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক, মাহির, হাফেজ আহমদ, এহেসান, মো. জাফর ও মো.রহিম।
এমআর/জেডএস