নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে দেওয়ার দাবি
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে চলাচল করতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের সামনে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তব্যে পরিষদের সভাপতি জালাল আহমেদ বলেন, সারা দেশে ৫০ লাখ মানুষ ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনে যুক্ত রয়েছেন। কিস্তি করে, জমি বন্ধক রেখে, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ চাঁদাবাজি মোকাবিলা করে ৫০ লাখ মানুষ বছরে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার অবদান রাখছেন। তারা কোনো প্রণোদনা বা সরকারি সহায়তা ছাড়াই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করা হলে অসংখ্য মানুষ কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়বে, তাই অতি দ্রুত সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পুনর্বিবেচনা করে ব্যাটারি রিকশা চলাচলের অনুমতি দিতে হবে।
তাদের অন্যান্য দাবিসমূহ হলো-
১. থ্রি হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০২৪ চূড়ান্ত করে দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা।
২. নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়া।
৩. কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা।
৪. ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশাসহ নিহত-আহত সব শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৫. বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা।
৬. প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশা সহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্প গতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা নিরসন করা।
৭. ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা এবং জব্দকৃত গাড়ি ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়া।
৮. সব শ্রমিকের জন্য আর্মি রেটে রেশন ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
ওএফএ/এসএম