খাদ্য-কৃষি সংস্থা মহাপরিচালকের কাছে বাংলাদেশি দূতের পরিচয়পত্র পেশ
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডং ইউ-এর নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেছেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং এফএও-এর স্থায়ী প্রতিনিধি রকিবুল হক।
ইতালির স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রোমে এফএও-এর সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিচালকের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।
রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদানে গিয়ে এফএও-এর মহাপরিচালক চু ডং ই ‘র সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন
বৈঠকে স্থায়ী প্রতিনিধি ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা এবং বৈশ্বিক জরুরি সংকট বা দুর্যোগের সময়ে বিভিন্ন দেশ কর্তৃক আরোপিত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা পরিহার করে কৃষি পণ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসের থ্রি জিরোর সঙ্গে এফএও-এর ফোর বেটার ভিশনের যোগসূত্র স্থাপন করে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, এই দুইটি ভিশনের প্রধানতম লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা নির্মূল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
স্থায়ী প্রতিনিধি গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনুসের প্রণীত সামাজিক ব্যবসা ধারণার প্রয়োগের বিষয়টি বিবেচনার জন্য এফএও-এর মহাপরিচালককে অনুরোধ জানান।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, কৃষি অবকাঠামোর ধারাবাহিক রূপান্তর এবং আধুনিকীকরণের ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আবাদযোগ্য জমি হ্রাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সত্ত্বেও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রদূত জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলা, কৃষিতে ইনোভেশন ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং টেকসই কৃষি উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে কৌশলগত ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফএও’কে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি এফএও-এর কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাসমূহের সাথে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকা পালনের বিষয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালককে আশ্বস্ত করেন।
এনআই/এমজে