ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস
বঙ্গোপসাগরে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। শুরুতে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে। সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার (১৯ মে) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের ২২ থেকে ২৩ তারিখের দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে তা ক্রমান্বয়ে নিম্নচাপে রূপ নেবে। এ নিম্নচাপ ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ইয়াস (Yass)।
তিনি জানান, নিম্নচাপ তৈরি হলে সাধারণত সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে থেকে বলা হচ্ছে যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কোন কোন এলাকায় আঘাত হানবে, তা আরও কয়েকদিন পর সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসহ রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মাদারীপুরে ৩৭ মিলিমিটার।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
একে/এমএইচএস