ভারতীয় পত্রিকার সংবাদ নিয়ে এনবিআরের ব্যাখ্যা
পাকিস্তান থেকে নিষিদ্ধ কোনো পণ্য আমদানি হয়েছে, এমন তথ্য পায়নি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজস্ব বোর্ড জানায়, দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন পত্রিকায় পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্য চালান লাগামহীনভাবে কায়িক পরীক্ষা ব্যতিরেকে খালাসের সুযোগ করে দিয়েছে বলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য এই যে, বিগত ২৩ নভেম্বর থেকে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সব ধরনের পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষার আওতায় আনা হয়।
আরও পড়ুন
এরপর পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সব পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় কোনো ধরনের রাজস্ব ফাঁকি পরিলক্ষিত হয়নি বা নিষিদ্ধ কোনো পণ্য আমদানি হয়েছে, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রেক্ষিতে কাস্টমস হাউস কর্তৃক পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানানো হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিষয়টি পর্যালোচনা করে কোনো নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার বিষয়টি সমতার এবং বর্তমান বাণিজ্য উদারীকরণ নীতির পরিপন্থি বিধায় জাতীয়ভাবে সব ক্ষেত্রেই ওই নিয়ন্ত্রণ রহিত করে প্রত্যেক কাস্টম হাউসকে তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পণ্যের ধরন, ব্যবসার প্রকৃতি, আমদানিকারকের ধরন এবং পূর্ববর্তী রেকর্ড বিবেচনায় নিজস্ব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতার ঝুঁকি নিরূপণ ও তৎপরবর্তী বিধান মোতাবেক খালাস কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে কোনো দেশকে টার্গেট না করে বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজিকরণ করা হয়েছে মাত্র, যা কোনোক্রমেই কোনো পণ্য চালানকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া, প্রতিটি পণ্য চালান কায়িক পরীক্ষণ/স্ক্যানিং/আনস্টাফিংয়ের সময় পরীক্ষা করা হয়ে থাকে, যা বর্তমানেও চলমান। এতে দেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পণ্য আসার সুযোগ নেই। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাস্তব ভিত্তিক করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি কাস্টমস হাউসকে তার নিজস্ব ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় যৌক্তিকভাবে ঝুঁকি নিরূপণ করে কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনআই/জেডএস