উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল এলো চট্টগ্রামে
চিকিৎসা সেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে আবারও বাংলাদেশে এসেছে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল ‘অরবিস’।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার ২০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে অরবিস।
এ নিয়ে একাদশতম বারের মতো বাংলাদেশে এবং পঞ্চমবারের মতো চট্টগ্রামে এলো উড়োজাহাজে বসানো উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালটি।
এবার ১৮ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসক ও চক্ষু খাতের অন্যান্য পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ দেবেন অরবিসের ক্লিনিক্যাল স্টাফ এবং স্বেচ্ছাসেবক ফ্যাকাল্টিরা। সেখানে সরাসরি অস্ত্রোপচার এবং রোগীদের যত্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিমুলেশন প্রশিক্ষণ এবং চক্ষু সংক্রান্ত কর্মশালাও হবে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে এবং অরবিসের পার্টনার হাসপাতাল- চিটাগাং আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে (সিইআইটিসি) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে ‘অরবিস’র প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হয়েছিল ১৯৮৫ সালে এবং সর্বশেষটি ২০১৭ সালে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা, যেটি বিশ্বের দুইশর বেশি দেশ ও অঞ্চলে দৃষ্টি-সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বাংলাদেশে অরবিসের এবারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির লক্ষ্য– চোখের যত্নের মান বাড়াতে স্থানীয় চক্ষুসেবা পেশাজীবীদের দক্ষতা গড়ে তোলা এবং চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে, অ্যালকন ফাউন্ডেশন ও ফেডেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অ্যালকন কেয়ারস, অফথালমোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এবং সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ারের (এনইসি) সহায়তায় এবারের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে আবার উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল আনতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারত্ব বাংলাদেশে মানসম্পন্ন চক্ষু সেবার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”
অরবিসকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর এবং চিটাগাং আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (সিইআইটিসি) অধ্যাপক ডা. মুনিরুজ্জামান ওসমানী।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চোখের ছানি, অকুলোপ্লাস্টিক, সার্জিক্যাল রেটিনা, শিশু গ্লুকোমা ও কর্নিয়ার পাশাপাশি অ্যানেস্থেসিওলজি, নার্সিং ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মত বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরএমএন/এমএ