দুদক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সাবেক মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ কমিশনের বৈঠক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহসহ দুই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে দুদক সংস্কার কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির টিআইবির কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ছাড়াও দুদকের তৎকালীন কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক ও কমিশনার আছিয়া খাতুন (অনুসন্ধান) আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত ছিলেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক দুই কমিশনার তাদের কাজের অভিজ্ঞতা এবং সীমাবদ্ধতা উপস্থাপন করেন। এ সময় তাদের পক্ষ থেকে স্বাধীন দুদক হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে বেশকিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। তবে লিখিত কোনো সুপারিশ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন
অপর একটি সূত্র জানায়, দুদককে আরো কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে কাজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন। গঠিত হওয়ার পর থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বা সরাসরি নিয়মিত মতবিনিময় করছে। যার অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্তরের দুদকের কর্মকর্তাদের সভা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও গত ২৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ ও দুই কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিনই পুরো কমিশন পদত্যাগ করায় ওই বৈঠক স্থগিত করা হয়েছিল।
গত ১০ নভেম্বর নতুন চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার খুঁজতে সার্চ কমিটি করা হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হককে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটির মধ্যে কমপক্ষে তিন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির কোরাম গঠিত হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রহিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে। কমিটির কার্যপ্রণালি সম্বন্ধে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে একটি শূন্য পদের বিপরীতে দুই জনের নাম সুপারিশ করবেন। তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর থেকে দুদক সংস্কার কমিশন কার্যক্রম শুরু করে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
আরএম/এমজে