‘হুমায়ূন আহমেদ সত্যিকারের জাদুকর লেখক’
বাংলা অ্যাকাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন বলেছেন, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ একটি আনন্দের নাম। অসুখী সময়ে ও স্বদেশে তিনি তার লেখার মধ্যদিয়ে স্বস্তি ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনতেন। তিনি ছিলেন সত্যিকারের জাদুকর লেখক।
বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে আলোচকরা বলেন, হুমায়ূন আহমেদ পূর্ববঙ্গের সমাজ ও মানুষকে যেভাবে তার সাহিত্যে ধারণ করেছেন, তা তাকে পাঠকপ্রিয়তা দিয়েছে। একই সঙ্গে সাহিত্যমানের বিচারেও তিনি অনন্য।
তারা বলেন, হুমায়ূন আহমেদ তার লেখার মধ্যদিয়ে তাকে পাঠের অনিবার্যতা তৈরি করেছেন। সংলাপ-প্রধান কথাসাহিত্যিক রচনায় তিনি অনেকক্ষেত্রে বর্ণনার প্রয়োজনও পাঠককে ভুলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তার রসবোধ, অতিপ্রাকৃতিকতা-প্রীতি কিংবা কল্পবৈজ্ঞানিক পরিপ্রেক্ষিত- সবকিছুর কেন্দ্রেই ছিল বাংলাদেশের গ্রামীণ ও নাগরিক মধ্যবিত্ত।
সেমিনারে হুমায়ূন আহমেদ ও বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র।
তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে বড় ঘটনা— এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এর প্রধান কারণ হলো পাঠক। তিনি যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাংলাদেশের সমাজে আর ঘটেনি। তিনি খোদ ঢাকায় বসে, সংস্কৃতির কেন্দ্র যে মধ্যবিত্ত তার ভেতরে ঢুকতে পেরেছেন। যে কারণে তাকে নিয়ে আলাপ করতে আমরা বাধ্য হই। হুমায়ূন আহমেদের এই জনপ্রিয়তার সাহিত্যিক বা রাজনৈতিক গুরুত্বকে অস্বীকারের উপায় নাই। তাকে বোঝার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের একটি অংশের মনোজগত অনুধাবন সম্ভব।
হুমায়ূন আহমেদ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মূল্যায়ন উপস্থাপন করেন কবি ও কথাশিল্পী কাজল শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, বিশেষত আশির দশকে টেলিভিশনকে কেন্দ্র করে আমাদের সামাজিক আলোড়ন হুমায়ূন আহমেদ অসাধারণভাবে ধারণ করেছেন।
আরএইচটি/এমজে