মানুষ বেচে ওরা কোটিপতি
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
নানা অনিয়মের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ২০২৩ সালে টাকার সংকটে পড়ে বেসরকারি খাতে পরিচালিত ইসলামী ব্যাংক। পরিস্থিতি সামলাতে ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহে কর্মকর্তাদের লক্ষ্য বেঁধে দেয়। পরে সফল সাড়ে ১৩ হাজার কর্মকর্তাকে পুরস্কার হিসেবে স্যুট বানানোর কাপড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তবে কোনো কর্মকর্তা স্যুটের কাপড় পাননি, তবে ঠিকই খরচ হয়েছে ব্যাংকটির সাড়ে ছয় কোটি টাকা।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
ইসলামী ব্যাংকে অনিয়ম: স্যুটের কাপড় ও ছাতা কেনার টাকাও গায়েব
একই বছরে ডলার–সংকট মেটাতে প্রবাসী আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় ইসলামী ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে প্রবাসী আয়ের সুবিধাভোগীদের জন্য উপহার হিসেবে এক লাখ ছাতা কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকটি। সেই ছাতা কেউ ব্যাংকে সরবরাহ করেনি। তবে ছাতা কেনার নামে ব্যাংকটি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।
কালবেলা
দেশে দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী, এটি একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বশাসিত সংস্থা। নিয়মানুযায়ী দুদকের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা নিয়োগে গঠিত হয় বাছাই কমিটি। প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন করে ছয়জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করে কমিটি। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি তিনজনকে সংস্থাটির শীর্ষ পদে নিয়োগ দেন। তবে সার্চ কমিটি ছয়জন কীভাবে নির্বাচন করবে, সুনির্দিষ্টভাবে সেই প্রক্রিয়া বা বিধিমালা নেই। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৮(৩) ধারার বাধ্যবাধকতায় রাষ্ট্রপতি আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোনো কাজ করতে পারেন না। ফলে খাতা-কলমে দুদকে কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ দেখানো হলেও আদতে সরকারের ইচ্ছার বাইরে দুদকের শীর্ষ তিন পদে নিয়োগ এক প্রকার অসম্ভব। যে কারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যারাই দুদকের দায়িত্বে এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই ক্ষমতাবানদের দুর্নীতিকে দায়মুক্তি দেওয়া এবং বিরেধী মত দমনে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান এই কমিশন সৃষ্টির পর থেকেই ক্ষমতাবান বা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বড় বড় দুর্নীতিবাজের ‘রক্ষাকবচ’ হিসেবে কাজ করেছে।
যুগান্তর
খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোয় খেলাপি ঋণ বেপরোয়া গতিতে বেড়েছে। আর্থিক খাতে সুশাসন না থাকায় ব্যাপকভাবে বড় বড় জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের প্রায় সবই খেলাপি হয়ে গেছে। যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।
২০০৯ সালের শুরু থেকে গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাতে বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোয় বেড়েছে ২৪ হাজার ১ কোটি টাকা।
দেশ রূপান্তর
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগকে (এসএমই) কাজে লাগিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করা দাঁড়িয়ে থাকা দক্ষিণ কোরিয়া বড় উদাহরণ হতে পারে। স্যামসাং, এলজি ও হুন্দাইয়ের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো থাকা সত্ত্বেও এখনো দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬০ শতাংশ অবদান এসএমই খাতের। এ খাতটিই দক্ষিণ কোরিয়ার বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ আর্থিক কর্মকা-ের নিয়ন্ত্রণ ব্যাংকগুলোর হাতে থাকার পরও দেশের এসএমই খাত ধুঁকছে বিনিয়োগের অভাবে। জিডিপিতে এ খাতটির অবদান মাত্র ২০ শতাংশ। বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখা তো আকাশ-কুসুম কল্পনা, বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও চায় তাদের গুঁড়িয়ে দিতে।
বণিক বার্তা
একদিকে সবচেয়ে দরিদ্র কমিউনিটি, অন্যদিকে লুটের অর্থে প্রাসাদ গড়ছেন অনেকে
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে প্রকাশিত ইনকাম ইনইকুয়ালিটি ইন ইউকে প্রতিবেদনের ২০২৪ সালের সংস্করণে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, জাতিগোষ্ঠী বিবেচনায় দেশটির অভিবাসী ও স্থানীয় কমিউনিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করে ভারতীয় ও চীনারা। সবচেয়ে কম আয় করে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশীরা। সেখানে ভারতীয়রা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৭০০ পাউন্ড আয় করেন। আর বাংলাদেশীরা আয় করেন গড়ে ৪১৬ পাউন্ড।
এছাড়া প্রতি সপ্তাহে চীনারা গড়ে ৬৪৩ পাউন্ড, শ্বেতাঙ্গরা ৬৩৫, শংকর জাতিগোষ্ঠী ৬২৭, এশীয় অন্যরা ৫৫৩, কৃষ্ণাঙ্গরা ৫৪৭, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী ৫৪২ ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতরা ৪২৩ পাউন্ড আয় করে। দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীরা বলছেন, বিনিময় হার বিবেচনায় এ অংক বেশি শোনালেও দেশটিতে জীবনযাপনের ব্যয় অনেক বেশি। বিশেষ করে বাংলাদেশীদের অনেকেই এখন সেখানে বাস করছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। যেমন আবাসন ব্যয় পরিশোধের পর সপ্তাহে বাংলাদেশীরা ৩০৪ পাউন্ড ও পাকিস্তানিরা ৩৪৫ পাউন্ড খরচ করতে পারে।
দেশ রূপান্তর
বন বিভাগের আপত্তির কারণে আট বছর আগে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য বিধ্বংসী একটি প্রকল্প এক-তৃতীয়াংশ কাজ করেই শেষ করতে হয়েছে।
তবে প্রকল্পের একটি বাঁধ নির্মাণে পৌনে ৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। বাঁধটি কোনো কাজেই লাগছে না। ফলে জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিলের টাকা জলে গেল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সঠিক সমীক্ষা ছাড়া, বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়া কাজ করার ফল এটি। সরকারি টাকার অপচয়ের দায় সংশ্লিষ্টদেরই।
বণিক বার্তা
সবচেয়ে কম অপরাধের শহর ঢাকায়ই সবচেয়ে বেশি পুলিশ
প্রতি লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে অপরাধ সংঘটনের হার সবচেয়ে বেশি খুলনা মেট্রোপলিটান এলাকায়। যদিও সেখানে পুলিশ, থানা, গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জামের সরবরাহ অন্যান্য মেট্রোপলিটনের চেয়ে অনেক কম। আবার প্রতি লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে অপরাধ সংঘটনের হার বিবেচনায় দেশে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ এলাকা হলো রাজধানী ঢাকা। যদিও পুলিশ সদস্য ও থানার সংখ্যা এখানেই সবচেয়ে বেশি।
এ বিষয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বক্তব্য হলো বাহিনীটির সেবা কার্যক্রমের বড় একটি অংশ ঢাকাকেন্দ্রিক। বিশেষায়িত অনেক ইউনিটও ঢাকাকেই কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে। আবার রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্রছায়া থেকে সুবিধা গ্রহণের জন্যও অনেকের নজর থাকে এখানে।
আরও পড়ুন
সমকাল
মাদকে নজরদারি কম, বাড়ছে ব্যাপ্তি
রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় গত ৩০ অক্টোবর দুর্বৃত্তদের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় তাদের গুলিতে বাসার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ আয়েশা আক্তার প্রাণ হারান। ওই ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে– মাদক কারবারি ফতেহ ও তার ভাই মামুনের সঙ্গে আল ইসলাম ও মোমিন গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বাউনিয়াবাঁধের মাদক বিক্রেতা মামুনের কাছে চাঁদা দাবি করে তাকে জিম্মি করে মোমিনের লোকজন। পরে মোমিন গ্রুপের সদস্যের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার নিরপরাধ গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বস্তি ও ক্যাম্পকেন্দ্রিক মাদক কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রায়ই প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াচ্ছে তারা। পল্লবীর মিল্লাত ক্যাম্প, বেগুনটিলা ক্যাম্প ও জুট পট্টিতে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর সবচেয়ে বড় মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাদক কারবারিদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত অন্তত আটজনের মৃত্যু এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
বণিক বার্তা
বড় দুই শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর কোটা পূরণ নিয়ে সংশয়
সম্ভাবনাময় দুই শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও দক্ষিণ কোরিয়ায় চাহিদা থাকলেও দেশ দুটিতে শ্রমিক পাঠাতে পারছে না বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) দুই দেশে শ্রমিক পাঠানোর কোটা পূরণ হয়েছে গড়ে ১৫ শতাংশ।
এরপর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে কিছু কর্মী গেলেও এর হালনাগাদ তথ্য এখনো প্রকাশ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত যে সংখ্যক কর্মী গেছে, তাতে বছরের বাকি সময় এ দুই দেশে কর্মী পাঠানোর কোটা পূরণ সম্ভব নয়। আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে সে অনুযায়ী কর্মীদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ দিলে কোটা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিত না।
সমকাল
রেলের তেল চুরিতে হাবিলদার-সিপাহি
এক হাবিলদার, তিন সিপাহি– চট্টগ্রাম রেলওয়ের তেল চুরি গল্পের কুশীলব। বেশ পরিপাটি এক নাটকের মঞ্চায়নও করেছিলেন তারা। বিধি বাম! সিসি ক্যামেরায় খেলেন ধরা। সেদিন ছিল ২৬ অক্টোবর। ভোরের আলো ফুটছে কেবল। আলো-আঁধারিতে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) একটি ওয়াগন থেকে গ্যালনে গ্যালনে তেল চুরিতে লেগে পড়েন ওরা চারজন। তেল নিয়ে মজুত করছেন পাশের ঝোপঝাড়ে। ফুটেজে পরিষ্কার চারজনের মুখ। সেখানে দেখা যায়, ঘরের ইঁদুরই কাটছে বেড়া!
এর মধ্যে একজন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সিপাহি মাহমুদুল হাসান। তিনি সিজিপিওয়াইতে কাটিয়েছেন ৯ বছরেরও বেশি সময়। এর পর ২০২২ সালের মার্চে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদরদপ্তর চট্টগ্রামের সিআরবিতে বদলি করা হয় তাঁকে। মাহমুদুলের সঙ্গে সেই সময় বদলি করা হয়েছিল সিজিপিওয়াইয়ে ১৪ বছর চাকরি করা আরেক সিপাহি শহীদুল ইসলামকেও। তবে দু’জনকে সিআরবিতে থাকতে হয়নি বেশিদিন। চেষ্টা-তদবিরে বছর না পেরোতেই দুই সিপাহি সিজিপিওয়াইতে ফেরেন বীরদর্পে। সেখানে ফিরেই তেল চুরির পুরোনো নেশায় মাতেন। চার চোরের বাকি দু’জন ছিলেন রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হাবিলদার আমিনুল হক ও সিপাহি মো. কাউসার।
কালের কণ্ঠ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পারে ছোট্ট এক গ্রাম মানিকপুর। এই গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান কখনো নদীতে মাছ ধরে, কখনো বা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। স্ত্রী আর তিন সন্তান নিয়ে অভাবের ঘর। সন্তানদের মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা।
তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি রেখে সিদ্দিকুর বেরিয়ে পড়েন একটু সচ্ছল জীবনের খোঁজে। ২০১৩ সালের জুনে পা বাড়িয়েছিলেন মালয়েশিয়ার পথে। বিশ্বাস করে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ধরেছিলেন ইব্রাহিম নকিব নামের স্থানীয় এক দালালের হাত। কিন্তু নকিব তাঁকে নিয়ে যান এক অনিশ্চিত বিপত্সংকুল পথে।
কালের কণ্ঠ
বিদ্যুৎসংকটকে পুঁজি করে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা একটি চক্র নির্বিচারে হাতিয়ে নিয়েছিল রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রেন্টাল-কুইক রেন্টালের আড়ালে অস্বাভাবিক দরে বিদ্যুৎ কেনার নামে বলতে গেলে দেশের বিপুল অঙ্কের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল ওই চক্রের হাতে, যারা এর বড় অংশই আবার বিদেশে পাচার করেছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এরা হাতিয়ে নিয়েছিল ২৯ হাজার কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকার এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকই, তবে তার আগেই দেশের টাকা চলে গেছে বিদেশে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে। ২০১০ সালে বিনা টেন্ডারে দায়মুক্তি আইন বা বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে তিন বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইসেন্স দেওয়া হলেও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ।
প্রথম আলো
দেশের ২৬% মানুষ তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায়, বেশি চট্টগ্রাম, রংপুরে : জরিপের তথ্য
দেশে সব ধরনের মোটা চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের পছন্দের মাঝারি চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ থেকে ৩ টাকা (প্রায় ৮ শতাংশ) বেড়েছে। মোটা ও সরু চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা (প্রায় ৭ শতাংশ)। তাই খাদ্য অধিদপ্তর ও টিসিবির ন্যায্যমূল্যের দোকানে মানুষের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। রাজধানীর পুরান ঢাকা, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বেশির ভাগ এলাকায় কম দামে খাদ্যপণ্য কিনতে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে একটি সমীক্ষায় দেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কাজনক চিত্র উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের ২ কোটি ৩৬ লাখ বা ২৬ শতাংশ মানুষ উচ্চমাত্রার খাদ্যসংকটে ভুগছেন। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মানুষ বিপদে থাকতে পারেন। তাদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তিন লাখ রোহিঙ্গাও রয়েছে। এ অবস্থায় তীব্র খাদ্যসংকটে থাকা ১৬ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাদ্যসহায়তা দরকার।
আজকের পত্রিকা
বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন হচ্ছে
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অবশেষে উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগে আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় আলোচনা হয়েছে বলে সভার একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতি নিয়োগে যোগ্য ও দক্ষদের বাছাই করার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার জন্য স্বাধীন নিয়োগ কমিশন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। কয়েকজন বিচারপতি তখন আলোচিত উচ্চ আদালতে নিয়োগের প্রক্রিয়ার কথাটি তুললে প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান।
এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ২; সৌদি ভ্রমণে সঙ্গ দেবে নারী এআই; ট্রাম্পের জয়ে দুশ্চিন্তায় অবৈধ অভিবাসীরা; ভয়াবহ দূষণ ছড়াচ্ছে এস এস স্টিল মিলস; পার্বত্য তিন জেলা / প্রাণ ফিরেছে পাহাড়ি পর্যটনে—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।