‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী জেলা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পালাবেন না। কিন্তু তিনি চলে গিয়ে তার প্রিয় দেশে আশ্রয় নিলেন। তারা আমাদের প্রতিবেশী। প্রতিবেশীকে আমরা সম্মান করি। আমার প্রতিবেশী যদি ভালো থাকে, আমিও ভালো থাকবো। প্রতিবেশীকে যদি আমি কষ্ট দিই অনুরূপ কষ্ট পাওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া আমরা বিশ্বাস করি না। অনুরূপভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও আমরা সুপ্রতিবেশী সুলভ আচরণ পেতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে অনুরোধ করবো যে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে, দেড়শতাধিক মামলা। তার বিরুদ্ধে খুন-গুমের মামলা আছে। অনেক মামলা তার বিরুদ্ধে আছে। আমাদের বিচারক যখন চাইবে তখন মেহেরবানি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তারা যেন শেখ হাসিনাকে তুলে দেন। আমরা চাই সাড়ে ১৫ বছর তারা জাতির ওপর যে জুলুম করেছে, বিচারের নামে যে তামশা করেছে, যে অবিচার করেছে সেটা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের দোসররা যেন তাদের ন্যায় বিচারটা নিশ্চিত করা হয়। বিশ্বাস করি জাতি যদি ন্যায় বিচার পায় তাহলে তারা ইনশাআল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।
জামায়াতের আমির বলেন, একজন শাসক সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন মানুষ বলতো, ও হাসিনা আমরা আর হাসি না। মানুষকে উত্তেজিত করতেন হাসানোর চেষ্টা করতেন। তেমন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তেমন ছিলেন তার উজির-নাজির সবাই। কে-কার চাইতে কত বেশি মিথ্যা কথা বলবে এই ছিল প্রতিযোগিতা।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে ধোঁকা দিয়েছেন। মানুষ খুন করেছেন, গণহত্যা চালিয়েছেন। গুম করে আয়না ঘর তৈরি করেছেন, হাজারো মায়ের বুক খালি করেছেন, মানুষের ইজ্জতের ওপর হামলা করেছেন। আর জামায়াতে ইসলামী সারা বাংলাদেশের ইউনিয়নের অফিসগুলো সিলগালা করে দিয়েছিলেন। ঘরের মধ্যে বসেও আমরা শান্তি পাইনি। ঘর থেকে তুলে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব ছিল বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতা। সেই কষ্ট বুকে নিয়ে আমরা এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি।
শরিফুল ইসলাম/এফআরএস