কোল পাওয়ারের এমডির পদত্যাগ ও মেঘনার সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হকের পদত্যাগ ও মেঘনার সঙ্গে সম্পাদিত কয়লা চুক্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলামী সরণিতে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির অফিসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে ফিরোজ কবীর বলেন, বিগত সরকারের দোসররা পরিকল্পিতভাবে সরকারের প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করেছে। অবিলম্বে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট কোম্পানি মেঘনার সঙ্গে কয়লার টেন্ডারচুক্তি বাতিল করতে হবে। কোল পাওয়ার জেনারেশনের এমডি নাজমুল হককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। চুক্তি বাতিল এবং এমডির পদত্যাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, মেঘনা গ্রুপের কোম্পানি ইউনিক সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং ভারতের আদিত্য বিড়লা গ্লোবাল ট্রেডিং কোম্পানি পিটিইর (সিঙ্গাপুরের রেজিস্টার্ড) কনসোর্টিয়ামকে ৩৫ লাখ টন কয়লা সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বাজারমূল্যের চেয়ে বাড়তি দরে কয়লা ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়ায় এক বছরে সরকারের গচ্চা যাবে ৯১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। যার দায় কোল পাওয়ার জেনারেশনের এমডি নাজমুল হকের।
এছাড়া সিপিজিসিবিএল কক্সবাজারের মাতারবাড়ির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা ক্রয়ের লক্ষ্যে দরপত্র দলিলসমূহ মূল্যায়নের জন্য কোল পাওয়ারের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হককে আহ্বায়ক করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি মেঘনা গ্রুপ ও আদিত্য বিড়লার প্রস্তাবিত দর মূল্যায়ন করে বর্তমান বাজার দর থেকে অনেক বেশি বলে ওই প্রস্তাবিত দর গ্রহণযোগ্য নয় বলে বোর্ডের কাছে সুপারিশ করেন। পরে মূল্যায়ন কমিটিকে ফ্যাসিবাদী সরকারের বোর্ড প্রস্তাবিত দরপত্র মূল্যায়ন করতে বলা হলে কমিটি একই রিপোর্ট সুপারিশ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পরে সরকারের প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলে তড়িঘড়ি করে আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাদ দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও বোর্ড পরিচালকরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম, ব্যারিস্টার মইন গনি ও মনোয়ারা হাকিম আলীর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুল হককে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। নাজমুল হককে বলা হয় পরে তাকে পার্মানেন্টলি ব্যবস্থা পরিচালক করে দেওয়া হবে। বোর্ড মিটিংয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের সার্কুলার দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যবধি কোনো সার্কুলার দেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কয়লার জন্য।
ওএফএ/এসএম