১০৮ কোটি টাকা ব্যয়, কাজও শেষ হয়নি
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
রাজধানীর ওসমানী উদ্যানে অবকাঠামো উন্নয়নের নামে গত সাত বছরে প্রায় ৭৮ কোটি টাকা খরচ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেখানে আরও ৩০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা ঠিক করে রেখেছে সংস্থাটি। বছর বছর খরচের পরিমাণ বাড়লেও এখন পর্যন্ত মানুষ এই উদ্যান ব্যবহার করতে পারছে না। কবে নাগাদ এটি মানুষ ব্যবহার করতে পারবে, তা এখনো ঠিক করতে পারেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
১০৮ কোটি টাকা ব্যয়, কাজও শেষ হয়নি
সবুজে ঘেরা এই উদ্যানের গাছ কেটে নানা অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পরিবেশবাদীরা। তবে বিগত সরকারের আমলে কোনো আপত্তি আমলে নেওয়া হয়নি। উল্টো অবকাঠামো তৈরি করতে গিয়ে নতুন নতুন পরিকল্পনা যুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই উদ্যানের পেছনেই ১০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কালবেলা
শিক্ষার নামে ব্যবসা খুলে কোটিপতি ড. মাহবুব
ড. মাহবুবুর রহমান। রাজধানী ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। একই সঙ্গে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যানও তিনি। এই দুই প্রতিষ্ঠান দিয়ে শিক্ষাকে ব্যবসা বানিয়ে এখন কোটিপতি এক সময়ের অতিদরিদ্র এই কলেজ শিক্ষক। ভর্তি বাণিজ্য, বাধ্যতামূলক কোচিং, অতিরিক্ত ফি—এভাবে তিনি নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। তার ডজনখানেক বাড়ি-ফ্ল্যাট, শপিং কমপ্লেক্স, দুই মেয়ের নামে আলাদা বাড়ি, শ্বশুরের নামে জমি, কলেজের পাশেই বিলাসবহুল বাংলো বাড়ি—কালবেলার অনুসন্ধানে তার এসব সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের সব
মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় থাকলেও ৫ আগস্টের পর নিজেকে পরিচয় দেন বিএনপিপন্থি শিক্ষক হিসেবে।
দেশ রূপান্তর
নির্বিচার মামলা কার্ড বাতিল সাংবাদিকতার হুমকি
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রতি স্বার্থান্বেষী মহলের হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলেছে, গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থী। ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের ঢালাও নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তাহীনতা মূলত কর্তৃত্ববাদের পুনরাগমনের পথ সৃষ্টি করবে। গতকাল বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানায় টিআইবি।
কালের কণ্ঠ
সাইবার আইন বাতিল হচ্ছে চলবে আগের সব মামলা
বহুল বিতর্কিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই আইনের অন্তত ১০টি ধারায় করা মামলা চলমান রাখতে ‘হেফাজত’ নামের বিশেষ বিধান যুক্ত করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)। প্রস্তাবিত খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতি পাওয়া গেলে অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে জারি করা হবে।
প্রথম আলো
যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই শ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছিল আরেকবার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড চার বছর ক্ষমতায় থাকার পর ১৮৮৮ সালে হেরে যান। ঠিক চার বছর পর ১৮৯২ সালে আবার নির্বাচনে জিতে তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে ১৩২ বছর পর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখল যুক্তরাষ্ট্র।
২০২০ সালে জো বাইডেনের কাছে হেরে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে। চার বছর পর আবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তিনি ফিরছেন ওয়াশিংটনে ক্ষমতার মসনদে। গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। এই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আরেকটি ইতিহাস গড়েছেন ট্রাম্প। সবচেয়ে বেশি বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
আজকের পত্রিকা
অকেজো সড়কবাতি, রাতে গা-ছমছম যাত্রা
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে রাতে জ্বলে না অনেক বাতি। ফলে সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কে চলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ ছাড়া অন্ধকার পরিবেশের কারণে বেড়েছে অপরাধ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরান ঢাকার নীলক্ষেত, পলাশী, শহীদ মিনার, ঢাকা মেডিকেল, আজিমপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ১০০টির মতো সড়কবাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এ ছাড়া কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ কেল্লার মোড়সহ আশপাশের সড়কেও বেশ কিছু বাতি অকেজো।
কালের কণ্ঠ
দেশজুড়ে ভাস্কর্য ম্যুরালে ব্যয় কয়েক হাজার কোটি টাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর আগে দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। এই কর্মে উদ্যোগী ভূমিকা ছিল স্থানীয় প্রশাসনের। অনেক সংস্থা নিজ উদ্যোগেও এগুলো তৈরি ও স্থাপন করে।
এর জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই বিপুল ব্যয় এখন অপ্রয়োজনীয় ও অপচয় হিসেবেই মূল্যায়িত হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বড় আকারের ভাস্কর্য ও ম্যুরালগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। যেগুলো ভাঙা যায়নি, সেগুলোতে কালি লেপটে বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে।
বণিক বার্তা
চলতি হিসাবের ভারসাম্য আবারো ঋণাত্মক ধারায়
দেশের চলতি হিসাবের ভারসাম্য আবারো ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চলতি হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ নির্দেশক প্রায় দুই বছর পর আগস্টে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছিল।
দেশের ডলার প্রবাহ ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় ‘ব্যালান্স অব পেমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে, যা বিওপি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা বিওপির সর্বশেষ প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, চলতি হিসাবের পাশাপাশি প্রথম প্রান্তিকে দেশের সামগ্রিক লেনদেন ঘাটতিও বেড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে বিওপির ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪৬ কোটি ডলারে, আগস্টে ছিল ১৩৯ কোটি ডলার। তবে বিওপির ঘাটতি গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় অনেক কম। ওই সময় এ ঘাটতি ছিল ২৮৫ কোটি ডলার।
কালবেলা
রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক হলে বৈষম্য দূর হবে না
গত ৫৩ বছরের ইতিহাস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বঞ্চনা, বৈষম্য ও বিচারহীনতার ইতিহাস। বিগত সরকারও সংখ্যালঘুদের নিয়ে নানা খেলায় ব্যস্ত ছিল। মানুষ ভেবেছিল ৫ আগস্টের পর তার পরিবর্তন হবে; কিন্তু সংখ্যালঘুদের প্রতি সেই বৈষম্য এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও সেখানে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। আসলে রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক হলে বৈষম্য কখনো দূর হবে না। সেজন্য সংবিধান থেকে আগে বৈষম্য দূর করতে হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংখ্যালঘু অন্তর্ভুক্তি প্রশ্ন: সংকট ও সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণবিপ্লবে প্রতিষ্ঠিত সরকার সংখ্যালঘুদের বৈষম্য দূর করবে বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
এছাড়া নির্বাচনী রূপরেখার চাপ বাড়ছে; ট্রাম্পের ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন; ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের শুভেচ্ছা; বিশ্লেষণ / যে ‘উদ্বেগ’ কমলাকে কাঁদিয়ে ট্রাম্পের মুখে হাসি ফুটিয়েছে; ভোটের অধিকার নিশ্চিত হলে দল নিষিদ্ধের দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে না; হাইকোর্টের মন্তব্য / পঞ্চদশ সংশোধনী মামলা দেশের মানুষের; টিআইবির উদ্বেগ / গণমাধ্যমে হামলা বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।