টেলিটকের ১৫৫০টি নতুন টাওয়ারে আপগ্রেডেশন হয়েছে ৪জি
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবার লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশের ১ হাজার ৫৫০টি নতুন টাওয়ারে ৪জি আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টেলিটকের সেবার মান উন্নত হবে এবং গ্রাহকরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) টেলিটকের ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানানো হয়েছে, সারাদেশে শতভাগ ৪জি কভারেজের লক্ষ্যে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫৫০টি নতুন সাইটে ৪জি আপগ্রেডেশন হয়েছে।
তবে গ্রাহকরা বলছেন, এখনও টেলিটকের নেটওয়ার্ক জটিলতা কাটছে না। খোদ টেলিটকের ৪জি আপগ্রেডেশনের পোস্টেই শত-শত গ্রাহক নেটওয়ার্ক জটিলতার অভিযোগ করেছেন।
মুস্তাফিজুর রহমান অনিক নামের এক গ্রাহক বলেন, জেলা শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার ভিতরে থাকি। গহিন এলাকাও না। তবুও ৩জি পায় না। ৪জি তো চিন্তার বাইরে।
বরকত আলী নামের এক গ্রাহক বলেন, আপনারা নেটওয়ার্ক সমস্যা দূর করুন। কাস্টমার (গ্রাহক) খুঁজতে হবে না। আর সিম প্রতিটি উপজেলা এমনকি ছোটখাটো বাজারেও যাতে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করুন। মানুষ দেশীয় জিনিস সবার প্রথমে অগ্রাধিকার দেবে। তবে প্রথমেই নেটওয়ার্ক সমস্যা ঠিক করতে হবে।
মো. সোহেল নামের আরেক গ্রাহক বলেন, কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে টেলিটকের ফোর জি নেটওয়ার্কের খুবই অভাব। যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করলে খুবই উপকার হয়। দেশের টাকা দেশেই রাখার পক্ষে আমরা।
গ্রাহকরা আরও বলছেন, টেলিটকের নেটওয়ার্ক জটিলতা কাটাতে বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন—নতুন টাওয়ার স্থাপন, পুরোনো টাওয়ারগুলোতে ৪জি আপগ্রেডেশন এবং ফাইবার অপটিক সংযোগের সম্প্রসারণ করার হলেও এটি এখনও ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় টেলিটকের বাজেট ও বিনিয়োগ সংকট, অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিলম্ব এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এর নেটওয়ার্কের মানোন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলেও মনে করছেন তারা।
আরএইচটি/জেডএস