প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে শিগগিরই নির্বাচন চায় বায়রা
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসক নিয়োগ চায়। সংস্থাটি বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসকের মাধ্যমে শিগগিরই নির্বাচন চায়।
রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাগর রুনী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সদ্যস্যদের ব্যানারে এসব দাবির কথা তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বায়রা কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ দুই বছর শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে দুবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গঠন করা বায়রা নির্বাচনি বোর্ড ও আপিল বোর্ড দিয়ে স্বৈরাচারের পেতাত্মারা যেন তেন নির্বাচন করার পায়তারা করছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, বায়রার সভাপতি ও মহাসচিব ফ্যাসিবাদের অন্যতম প্রেতাত্মা। সভাপতিসহ কার্য নির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য পলাতক। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে ইতোমধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ৯ জন কার্যনির্বাহী কমিটি হতে পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বায়রার কমিটি ভেঙে দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে অনতিবিলম্বে নির্বাচন করতে হবে।
বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, বায়রা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমরা চাই যোগ্য প্রশাসকের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যিনি যোগ্য, ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসবেন। যিনি ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। আমরা বায়রার সংস্কার চাই। আমরা অভিবাসন ব্যয় কমাতে চাই।
সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, বায়রা এখন দুটি গ্রুপে বিভক্ত। বর্তমান কমিটি অকার্যকর। এই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন করা সম্ভব না। বর্তমান বায়রার কমিটি ভেঙে দিয়ে একজন প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন হোক।
বায়রার সংস্কার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম বলেন, অভিবাসন খাতের সংস্কার দরকার। এই খাতের সংস্কার জরুরি। এই খাতে যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয়, সেটার সংস্কার জরুরি। যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটি হতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সহসভাপতি এবং যুগ্ম মহাসচিবসহ ৯ জন পদত্যাগ করেছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনআই/এমএসএ