পেনশন ভোগান্তি বন্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা
১৯৭২ থেকে ৩০ জুন ১৯৯৭ পর্যন্ত রাজস্ব খাতে নিয়মিত করা কর্মচারীদের পেনশন ভোগান্তি, প্রশাসনিক জটিলতা ও আর্থিক হয়রানি অবিলম্বে নিরসনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অর্থ বিভাগের ২৪.০৩.২০০৮ ও ২২.০৯.২০১১ তারিখে জারি করা দুটি পত্রের কারণে শত শত কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিকের টাকা অমানবিক ও অন্যায়ভাবে কর্তন করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী অধিকাংশ কর্মচারীরা চাকরিগত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী নিয়মিতকৃত কর্মচারীর বেতন, ছুটি, পেনশন ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা হয়ে আসছে। বর্তমানে অর্থ বিভাগের বিতর্কিত দুটি পত্র কর্মচারীদের পেশাগত জীবন ও অবসর জীবনকে অশান্ত ও হুমকির সম্মুখীন করে চলেছে। দিন দিন বৈষম্য ও জটিলতাকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে।
তিনি বলেন, যে দুটি চিঠির বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছিল সেই দুটি পত্র আদালত কর্তৃক ২০১২ সালে বাতিল করা হলেও বিষয়টি আজও নিষ্পত্তি করা হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধিতে আনুষঙ্গিক সুবিধাদি বলতে কী কী বুঝানো হয়েছে তার ব্যাখ্যা আজও প্রদান করা হয়নি। এমনকি আপিল বিভাগ, রিভিউ, ফারদার রিভিউয়ের সকল ধাপ সম্পন্ন হলেও অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষিত অর্থ বিভাগের ২৪ মার্চ ২০০৮ ও ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখের পত্র দুটি আজও বহাল রয়েছে। এর ফলে সারাদেশে হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো শত শত অবসর ও পেনশনমুখী কর্মচারীদের পেনশন ভোগান্তি ও হয়রানি করে চলেছে। কর্মচারীরা পেনশন, টেনশন ও হয়রানিতে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাই বিষয়টি দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১১১ ও ১১২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংশ্লিষ্টদের প্রতি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷
এমএম/এসকেডি