শেখ পরিবারের কে কোথায়
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
নিত্যপণ্যের দামের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। চাল, আটা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই, যার দামে স্বস্তি আছে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
এক সপ্তাহেই বাড়ল ১২ পণ্যের দাম
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ১২টি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ তালিকায় রয়েছে সয়াবিন তেল, পাম তেল, চালের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্র্যান অয়েল, আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, দারুচিনি, ধনে, গরুর মাংস ও ডিম।
ডিমের দাম নতুন করে বেড়েছে ডজনপ্রতি ১২ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম উঠেছে ডজনপ্রতি ১৮০–২০০ টাকায়। দর কমাতে বাজারে অভিযান শুরুর পর ডিম বিক্রিই বন্ধ রেখেছে কিছু কিছু আড়ত। এতে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক বাজারে ডিমই পাওয়া যাচ্ছে না।
কালের কণ্ঠ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। গাঢাকা দেন মাঝারি ও তৃণমূল পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী নেতাও। মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসছেন না। এর মধ্যে দলীয় বিভিন্ন পদে থাকা অনেককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
দলীয় পদের বাইরে সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের ঘটনা চলমান। এত কিছুর মধ্যেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ‘শেখ পরিবারের’ বেশির ভাগ সদস্যের হদিস মিলছে না।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাঠে প্রভাবশালী শেখ পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিষয়টি পরিষ্কার।
কালবেলা
টাকার জাজিমে (তোশক) না শুলে ঘুম আসত না আমির হোসেন আমুর। তিনি ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক। নতুন টাকার বান্ডিল আর স্বর্ণের নৌকা ছিল তার প্রথম পছন্দ। যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তাকে স্বর্ণের তৈরি নৌকা দিতে হতো। আর তদবিরের জন্য দিতে হতো ‘নতুন টাকার বান্ডিল’। নতুন টাকার বান্ডিল দিয়ে জাজিম বানিয়ে ঘুমাতেন তিনি।
আমির হোসেন আমুর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন তার ভায়রা ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ফখরুল মজিদ কিরন। তিনি আবার সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূনের ভাই। তারও এপিএস ছিলেন কিরন। আমুর শ্যালিকা মেরী আক্তার ও কিরন দম্পতির কন্যা সুমাইয়াকে দত্তক নিয়েছিলেন নিঃসন্তান আমু। এই সুমাইয়া ও কিরনের কাছেই আমুর অবৈধ আয়ের অধিকাংশ গচ্ছিত রাখা। সুমাইয়া বর্তমানে স্বামীসহ দুবাইপ্রবাসী। সেখানে হুন্ডিসহ নানা উপায়ে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন আমু। এমন তথ্য জানান তারই ঘনিষ্ঠজন। গত ৫ আগস্ট রাতে আমুর ঝালকাঠির বাড়িতে লুটপাট শেষে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখানে আগুনে পুড়ে যায় কোটি কোটি টাকা ও ডলার-ইউরো। আংশিক পোড়া অবস্থায় ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ও লাগেজ ভর্তি ডলার এবং ইউরো উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে পাওয়া যায় টাকা ও বিদেশি মুদ্রা মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা। আমুর মগবাজার ও বরিশাল শহরের বাড়ি থেকেও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।
বণিক বার্তা
ডিম-মুরগি বেচে ফুলেফেঁপে উঠছে বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো
দেশের মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ছে। দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের অন্যতম প্রধান উৎস এ দুই পণ্যের বাজারে অস্থিরতার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ওপর। নানামুখী সংকটেও ডিম ও মুরগিসহ পোলট্রি পণ্যের ব্যবসায় ভালো মুনাফা করছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে এ খাতের অন্যতম শীর্ষ তিন কোম্পানি কাজী ফার্মস, সিপি বাংলাদেশ ও প্যারাগন পোলট্রির মোট সংরক্ষিত মুনাফা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়।
মুনাফা থেকে যাবতীয় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ব্যয়, আয়কর ও শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ পরিশোধের পর যে অংক অবশিষ্ট থাকে সেটিই একটি কোম্পানির সংরক্ষিত মুনাফা। এটিকে কোম্পানির পুনর্বিনিয়োগযোগ্য মুনাফা হিসেবেও দেখা হয়। বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতেও বিপুল পরিমাণ সংরক্ষিত মুনাফা অর্জনের মধ্য দিয়ে আরো ফুলেফেঁপে উঠছে পোলট্রি খাতের তিন করপোরেট প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন
সমকাল
এগিয়ে অগ্রসর শিক্ষার্থীরা দুর্বলরা আরও পিছিয়ে
অর্ধেক পরীক্ষা, অর্ধেক সাবজেক্ট ম্যাপিং। অন্যরকম এক ফল। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে অগ্রসর শিক্ষার্থীরা আরও এগিয়ে গেছেন; দুর্বলদের অবস্থান আরও দুর্বল হয়েছে। ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে, গতবারের চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০টি ও পরীক্ষাকেন্দ্র বেড়েছে ৩৮টি। ১ হাজার ৩৩৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছেন। তবে ছাত্রদের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি পাস করেছেন ছাত্রীরা। এ ছাড়া ১৫ হাজার ৯৫৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ অর্জন করেছেন। গত এক দশক ধরেই তাদের সাফল্যের এ ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
একদিকে কমেছে পাসের হার, অন্যদিকে সর্বোচ্চ ফল জিপিএ ৫-এর উল্লম্ফন।
দ্বিমুখী এবারের এইচএসসির ফলে। আর এর নেপথ্যে কাজ করেছে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’। মেধাবী শিক্ষার্থীরা আরও ভালো ফল করেছেন, অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা এবারও পিছিয়ে পড়েছেন। শিক্ষাবিদরা বলছেন, আগের পাবলিক পরীক্ষায় ফল খারাপ করা ছাত্রছাত্রীদের পরের পরীক্ষায় পরিশ্রম বেশি করে ফল ভালো করার সুযোগ থাকে। তবে পরীক্ষা না হলে, আগের পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করার কারণে পিছিয়ে পড়ারা আরও পিছিয়েই পড়ে। এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেও তাই হয়েছে।
ইত্তেফাক
বৃহস্পতিবার থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাজ শুরু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা-গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের বিচার অগ্রাধিকার পাবে। আগামী বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে এ সংক্রান্ত পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে প্রধান প্রসিকিউটর এসব পিটিশনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি।
মানবজমিন
সরকার কি তাহলে প্রতিবিপ্লবের মুখোমুখি?
বিপ্লবের ছায়াসঙ্গী হচ্ছে প্রতিবিপ্লব। যেখানেই বিপ্লব সেখানেই প্রতিবিপ্লবের আলামত। কোথাও সফল হয়। কোথাও ব্যর্থ। বাংলাদেশের বিপ্লব নিয়েও দেশে-বিদেশে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নানামুখী প্রচারণা। নানা ছক তো আছেই। সরকারের ভেতরেও একটি মহল প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। যদিও এর আগে অনেকগুলো পরিকল্পনা বা ছক ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু পরাজিতরা বসে নেই। তারা বিজয়ের হাসি হাসতে চায়। তাই বলছে, ক’দিন যায় দেখুন! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন টানটান উত্তেজনা। বলা হচ্ছে, প্রতিবিপ্লব এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অবাধ স্বাধীনতার যুগে এমনটাই স্বাভাবিক।
ফিলিপাইনেও বিপ্লবের পর এমনটা ঘটেছিল। সরকারি মহল কি তাহলে চিন্তিত? প্রশ্ন রেখেছিলাম সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। বললেন, এটা নতুন কোনো খবর নয়। আমরা সবাই জানি এবং দেখছি। নানাভাবে সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। আপনি কি তাহলে চিন্তিত? জবাব দিলেন সোজাসাপটা। বললেন, চোখ-কান খোলা রেখেছি। যা ব্যবস্থা নেয়ার নিচ্ছি। বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব কি তাহলে অবশ্যম্ভাবী! ইতিহাস তো তাই বলে। আমরা আমাদের কাজ করছি। কিছু ভুল-ত্রুটি তো আছেই। এটা দূর করে আমরা গন্তব্যে যেতে চাই। সে গন্তব্য কোথায়? এই প্রশ্ন কেন? আমরা তো বলেছি সংস্কার এবং নির্বাচন, আমরা দুটোই চাই। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে আমরা থাকতে চাই না। আমার তো সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। তুমি তো জানো আমি স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখাই। এখন তো আমি আর কোনো স্বপ্নও দেখতে পারি না। যেখানে ছিলাম আমি একজন মুক্ত মানুষ।
কালের কণ্ঠ
লুট হচ্ছে ঢাকা ম্যাচের যন্ত্রপাতি
একসময় দেশে দিয়াশলাইয়ের বাজার নিয়ন্ত্রণ করত ঢাকা ম্যাচ ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ম্যাচ। তবে দীর্ঘ ১৯ বছর বন্ধ থাকায় ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ঘর, যন্ত্রপাতি মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নামি ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসের প্রান্তে। নিরাপত্তাকর্মীদের অবহেলায় দেয়াল টপকে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে চুরি করা হচ্ছে সব দামি যন্ত্রপাতি।
সরকারি-বেসরকারি মালিকানার এই কারখানার এমন দুরবস্থা কোনোভাবেই মানতে পারছে না কারখানার কর্মী ও স্থানীয় লোকজন। তারা বলছে, ঢাকার মধ্যে এমন নামি একটি শিল্প-কারখানা এভাবে পড়ে থাকা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। আগের মতো ম্যাচ বা অন্য কোনো পণ্য উৎপাদন করা যেতে পারে এই কারখানায়। এর জন্য সরকার কিংবা কম্পানির এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
যুগান্তর
দিনে দিনে ভয়ংকর এমপি মোস্তাফিজ
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আওয়ামী লীগের টিকিটে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। টিআর-কাবিখাসহ সরকারি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এভাবে ১০ বছরের ব্যবধানে তার সম্পদের পরিমাণ বাড়ে ১৪ গুণ।
লুটপাটের পাশাপাশি এলাকায় কায়েম করেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব। ভিন্নমত দমনে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মিছিলে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক পুলিশ পিটিয়ে বারবার হয়েছেন সংবাদ শিরোনাম। তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলেই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ঠুকে দিতেন আইসিটি অ্যাক্টের মামলা। ২০১৪ সালে প্রথমবার ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বার কখনো দিনের ভোট রাতে নিয়ে কখনও বিনা ভোটের এমপি হয়ে আগ্রাসী রূপে আবির্ভূত হন তিনি। দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালেও তিনি আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন পান। যদিও ওই নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান জয়ী হন। এরপর থেকে এলাকায় তাকে তেমন দেখা যায়নি। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে এক সময়ের প্রতাপশালী এই এমপি আত্মগোপনে চলে যান।
এছাড়া সস্ত্রীক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা শিখরের; মার্কিন ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার; উত্তীর্ণের ঊর্ধ্বে ওরা; ডেঙ্গু নিল আরও ৮ প্রাণ হাসপাতালে ভর্তি ১১০৮—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।