কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজে আগুন : তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি
চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস এবং বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটন, এলপিজি পরিবহনে জাহাজ এবং জাহাজ সমূহের নাবিকদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নির্ণয়, পরিবাহিত এলপিজির পরিবহন ও উপযুক্ততা নিরূপণ, অগ্নিদুর্ঘটনার ফলে সংগঠিত ক্ষয়ক্ষতি ও দায় দায়িত্ব নিরূপণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, তানজানিয়ার পতাকাবাহী এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কুতুবদিয়া অ্যাংকরেজ এলাকায় এলপিজি গ্যাস খালাসের জন্য আসে। পরে বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজ এমটি ক্যাপ্টেন নিকেলাস জাহাজ থেকে এলপিজি লাইটিং কার্যক্রম শুরু করে। লাইটিং চলার সময় গতকাল রাত আনুমানিক ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ক্যাপ্টেন নিকলোস জাহাজের ডেকে আগুন লেগে যায়। পরবর্তী সময়ে বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজের সব নাবিক পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে টাগ তুফান এক্সপ্রেস ৩ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করতে সমর্থ হয়।
অপরদিকে এই ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সময়ে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে জাহাজের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
আরএইচটি/এসএইআর/এসএম