গণঅভ্যুত্থানের সুবিধা সবাই পাবে, কোনো বৈষম্য থাকবে না
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের সুবিধা সবাই পাবে। সেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি উত্তরা পশ্চিম থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশে কাজ করছি। আমরা যেভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, একইভাবে নতুন বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকার। তারই অংশ হিসেবে এবারের দুর্গোৎসবে একদিনের ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা চাইবো বাংলাদেশ যেন কখনোই কেউ ধর্মীয় চর্চা বা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাধা দিতে না পারে এবং যারা এই কাজটি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা সমাজে নিদর্শন হিসেবে রাখা হবে। আমরা আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি চাই। নতুন বাংলাদেশ স্বাধীন করার ক্ষেত্রে সবার আত্মত্যাগ রয়েছে। যখন আমরা গুলি খেয়েছি তখন সে গুলি হিন্দু মুসলমান ভাগ করেনি। যারা সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে তারাই নির্যাতিত হয়েছে। কোন একটি সম্প্রদায় যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে অন্য সম্প্রদায়ের জন্য তা সুখকর হবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করবো। গণঅভ্যুত্থানের সুবিধা সবাই পাবে, সেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না; এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।
পরিদর্শনের সময় সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সুস্মিতা কর, লিংকন দত্তসহ স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচটি/এসএম