মন্দির-মণ্ডপে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএসসিসি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকার সকল মন্দির-পূজামণ্ডপসহ সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালি মন্দির, শিববাড়ি মন্দির, কালিবাড়ি মন্দির, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি মণ্ডপ, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, শীববাড়ি মন্দির, দুর্গা মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, শাঁখারীবাজার পূজামণ্ডপ, লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির, ফরাশগঞ্জ রোড় পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ মন্দির, গলগথা উপাসনালয়, শঙ্কর সাধুর আশ্রম, শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির, ডগাইর বটতলা মন্দির, পূর্ব বক্সনগর ঋষিপাড়া কালী মন্দির, ধার্মীক পাড়া পূজামণ্ডপ, কাজলা পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রী বঙ্ক বিহারী রাধারানী মন্দির-মণ্ডপসহ সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মন্দির ও মণ্ডপ এবং সংলগ্ন এলাকায় এই বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গত ৭ অক্টোবর হতে শুরু হয়ে নবমীর দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়াও করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
এ দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, গত ৮ অক্টোবর সারা বাংলাদেশে মোট শনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৯৮১ জন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় রোগীর সংখ্যা ১৮০ জন দেখানো হয়। কিন্তু তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে যাচাই-বাছাই শেষে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকার ৬২ জন রোগী পাওয়া যায়। অন্যান্য রোগীরা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় আত্মীয়-স্বজন কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
এএসএস/এনএফ