হাসিনার খোঁজ পাচ্ছে না সরকার
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস করপোরেশনের স্থায়ী আমানতের বড় অংশ নিজের ব্যাংক মধুমতিতে জমা রেখেছেন। সিটি করপোরেশনের আর্থিক লেনদেনও অন্য ব্যাংক থেকে সরিয়ে মধুমতিতে নিয়েছেন।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
ঢাকা দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’
ফজলে নূর তাপস ২০২০ সালে মেয়র হন। এরপর তিনি সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে নজর দেন। আয় বাড়লেও উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর জোর ছিল না; বরং সিটি করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখতে মনোযোগী ছিলেন তিনি।
মানবজমিন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা ভারতে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে খোঁজ করেছি। কোথাও তার সন্ধান পাইনি। তার অবস্থান সম্পর্কে কেউ কনফার্মেশন দিতে পারেনি। মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেড় ঘণ্টার নোটিশে মন্ত্রণালয় জরুরি ওই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা বর্তমানে আরব আমিরাতের আজমাইনে আত্মগোপনে রয়েছেন মর্মে খবর বেরিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা অনেক জায়গায় খোঁজ করেছি। কোনো কনফার্মেশন পাইনি। মিডিয়ায় আপনারা যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি যে, আমিরাতের আজমাইনে গেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ভারত শেখ হাসিনাকে অন্য দেশে পাঠালো কিনা? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রকেই জিজ্ঞেস করেন।
কালের কণ্ঠ
সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে প্রস্তুতি
দেবীর বোধন ও ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। তিথি অনুযায়ী আজ বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। মন্দির ও মণ্ডপে বোধনের ঘট স্থাপন করা হবে। ভক্তের ভক্তি, নিষ্ঠা আর পূজার আনুষ্ঠানিকতায় মাতৃরূপে দেবী দুর্গা অধিষ্ঠিত হবেন মণ্ডপে মণ্ডপে। এ বছর সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর কালের কণ্ঠকে জানান, গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৮টা ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে মহাষষ্ঠী কল্পনারম্ভ শেষ হবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এবারের আয়োজনের মধ্য রয়েছে দেবীর বোধন (পঞ্জিকার লগ্ন অনুযায়ী প্রতিমা স্থাপনে বেদী প্রতিষ্ঠা), আমন্ত্রণ ও অধিবাস, সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক সংগীত পরিবেশনসহ নানা অনুষ্ঠান।
বণিক বার্তা
সংস্কারের বাইরে থেকে যাবে কি এনজিও?
কভিডকালে দেশজুড়ে মাসের পর মাস ছিল লকডাউন। মারাত্মক প্রভাব পড়ে জীবনযাপনে। সে ধাক্কায় দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়ায় বলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক জরিপে উঠে আসে। ওই সময় অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করায় প্রশ্ন উঠেছিল নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও) বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে।
কেননা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের মধ্য দিয়েই অলাভজনক এসব প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। পরবর্তী সময়ে বেড়েছে এর ক্ষেত্র ও সংখ্যা। তবে কার্যপরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক উন্নয়নের মূল জায়গা থেকেও এনজিওগুলো ক্রমেই সরে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, প্রান্তিক মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মতো উদ্যোগ থেকে সরে এসে দেশের বৃহদাকারের এনজিওগুলো এখন করপোরেট কালচারের দিকে যাচ্ছে।
মানবজমিন
সরকারি খাতেই ৫ লাখ চাকরির সুযোগ
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তোড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলনের শুরুটা ছিল সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীদের। তারা মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের জেরে সরকারের পতন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সমর্থনেই নতুন সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরির বিষয়ে স্থবিরতা কাটেনি এখনো। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এই মুহূর্তে। এই পদ পূরণ হলে চাকরি প্রত্যাশীদের বড় অংশের কর্মসংস্থান হতে পারে। এই পদ পূরণে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি কমিশন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি পদ খালি। বিপুল পরিমাণ এই শূন্যপদ থাকলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না চাকরি পরীক্ষা। আবার আগে অনুষ্ঠিত হওয়া চাকরি পরীক্ষাও সম্পন্ন হচ্ছে না।
আরও পড়ুন
দেশ রূপান্তর
বাংলাদেশের সম্পদে সিঙ্গাপুরে সাম্রাজ্য
দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও টেলিকম খাতে একক আধিপত্য সামিট গ্রুপের। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এসব খাতে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিযোগিতা ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্প আর সরকারি নানা সুবিধা পেয়ে গত দেড় দশকে সামিট গ্রুপের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে।
বিদ্যুৎ-জ্বালানির ওপর ভর করে একসময়ের জুতা, চিটাগুড় ব্যবসায়ী দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। তিনি এক যুগের বেশি সময় সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত। সেজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও এ কোম্পানির সম্পদের হিসাব করা হয় সিঙ্গাপুরে।
কালের কণ্ঠ
লক্ষ কোটি টাকা পাচারে মেঘনা গ্রুপ
সামান্য লবণ বিক্রেতা থেকে দেশের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা মেঘনা গ্রুপের মালিক মোস্তফা কামাল। পরিশ্রম করেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন। তাঁর সাফল্য আর তরতর করে ওপরে উঠে যাওয়ার গল্প রূপকথাকেও হার মানায়। এটি হচ্ছে মোস্তফা কামালের মুদ্রার এপিঠ।
তবে অন্য পিঠে টাকা পাচার, শুল্ক ফাঁকি, কারসাজি, জালিয়াতিসহ নানা অপকর্মের সহস্র উদাহরণ। সততার ভাবমূর্তি তৈরি করে ভালো উদ্যোক্তার আড়ালে দুর্নীতি আর অনিয়মকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এই শিল্পপতি। খোদ সরকারি দপ্তরের তথ্য-উপাত্তই বলছে, ৭০টি শিল্পের মহীরুহের মালিক মোস্তফা কামালের টাকার কুমির হওয়ার নেপথ্যে আসলে অবৈধ আয়। টাকার অঙ্ক শুনলে যে কারো মাথা ঘুরে যাওয়ার কথা! বলা হচ্ছে, গত ২০ বছরে তিনি অন্তত এক লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন, যার মধ্যে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকাই আন্ডার ইনভয়েসিং।
সমকাল
সাঁড়াশি অভিযানে নজর বেড়েছে অন্য অপরাধ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনার মামলায় গুরুত্বপূর্ণ আসামি গ্রেপ্তারে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গেল সাত দিনে সারাদেশে সাত হাজারের বেশি আসামিকে ধরেছে তারা। গড় হিসাবে তাও দিনে এক হাজার। তবে সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারের মধ্যে বিগত সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি), আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তার সংখ্যাই বেশি। এ সুযোগে সাম্প্রতিক সময়ে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে অনেক অপরাধী।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। নানা সংকটে পুরোদমে টহলসহ সার্বিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না পুলিশ। থানার কাজও স্থবির। তাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। বিশেষ করে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাই। শুধু টাকা-ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না তারা, গুলি বা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করা হচ্ছে ভুক্তভোগীকে; কখনও যাচ্ছে প্রাণ। তবে ভুক্তভোগীর বেশির ভাগই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করছেন না। ফলে পুলিশের হাতে ছিনতাইয়ের প্রকৃত পরিসংখ্যান নেই।
কালের কণ্ঠ
আ. লীগ নেতা বেশির ভাগই ভারতে, কেউ বা দূর দেশে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পালাবদলে এখন বিপাকে আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁদের বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই যাত্রার শুরু।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে না থাকলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতও নানা কৌশলে প্রকাশ্যে বা গোপনে তাঁদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ যখন বেশ বেকায়দায়, তখন দলটির অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা ওই সময় প্রায় ছয় বছর ভারতের আশ্রয়ে ছিলেন।
যুগান্তর
টাকা ছাপিয়ে ঋণ ১ লাখ ৩২ হাজার কোটি
বেপরোয়া গতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিয়ে অধিকাংশ সময়ে দেশ পরিচালনা করেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যে কোনো সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগ সরকারই অতিমাত্রায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর ঋণের জন্য নির্ভরশীল ছিল। ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ১৫ বছরে ক্ষমতাচ্যুত সরকার ১ লাখ ৩২ হাজার ২২৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এসব ছাপানো টাকাও লুটপাট করার অভিযোগ আছে। এতে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। এর বিপরীতে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, যা বিশেষ করে স্বল্প-আয়ের মানুষকে নিষ্পেষিত করেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে ভঙ্গুর করে তুলেছে।
এছাড়া মাহফুজ আলম ষড়যন্ত্রকারীরা দেশ-বিদেশ থেকে স্পেস পাবে না; হত্যাসহ সব মামলায় জামিনে মুক্ত সাবের; জাদুবলে ওকালতি পড়ছেন সাবেক এমপি তুহিন!; তাবাসসুম উর্মিকে সশরীরে আদালতে হাজিরের সমন; রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে’ গুরুদণ্ডের পরামর্শ; হাত-পা বাঁধা ইসি কাজে আসে না; উগ্র ইসলামিক রাষ্ট্র প্রমাণে চলছে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র; মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।