মুন্সীগঞ্জ আ.লীগ সভাপতিসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনাসহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অপর নেতারা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসউজ্জামান আনিস, মীরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম শাহিন ও মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফসার উদ্দিন ভুঁইয়া আফসু।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ তাদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মহিউদ্দিন আহম্মেদ ৪টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক এবং তার স্ত্রী সোহানা তাহমিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও অন্যান্যভাবে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেন। তার অবৈধ সম্পদগুলো হলো- মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড এ ব্লক, বাসা নং-১১/১ (ফ্ল্যাট নং-৭/এ) ঠিকানায় ১৭৪.৯০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট ক্রয়, যার মূল্য ৭৫ লাখ টাকা; ১৫ লাখ টাকার ১টি ল্যান্ড ক্রুজার টয়োটা গাড়ি ক্রয়। এছাড়া তাদের আরও অনেক সম্পদ নামে-বেনামে রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অপর ব্যক্তি আনিসুজ্জামান আনিসের শহরে অবস্থিত ৩ হাজার ৯৬০ বর্গফুট বিশিষ্ট 'মুন্সিগঞ্জ টাওয়ার' নামীয় ৫তলা ভবনসহ মুন্সিগঞ্জের কোর্টগাঁও মৌজায় ২তলা ভবন নির্মাণ করেন। তার ২০২৩-২৪ আয়কর নথিতে নিট সম্পদের মূল্য ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫২ টাকা। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. শহিদুল ইসলাম শাহিন মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভার গোয়ালঘুন্নী এলাকায় ৫তলা বহুতল ভবন নির্মাণ করেন।
এছাড়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি আফসার উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে সোয়া ৪ কোটি টাকার সেতু নির্মাণের অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। সেতু নির্মাণের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আফসার উদ্দিন ভূইয়ার সংশ্লিষ্টতার সত্যতা তথ্যানুসন্ধানকালে পাওয়া যায়। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও তাদের উপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা যায়। গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় অনুসন্ধানের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরএম/জেডএস