সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের দেওয়া মামলা বাতিল দাবি
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের ভাই আনিসুজ্জামান রনির দায়ের করা মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনিসুজ্জামান রনির দায়ের করা মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবি জানানো হয়। এসম বক্তারা সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার অপহরণের বিচার ও পুনঃতদন্ত দাবি করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার ও তার স্ত্রী তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া—বিজেআইএমের কনভেনর স্যাম জাহান, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস ও সিনিয়র রিপোর্টার ওমর ফারুক, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার সুবল বড়ুয়া, পূর্বদেশের স্টাফ রিপোর্টার এমএ হোসাইন প্রমুখ।
নির্যাতিত সাংবাদিক গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘আমাকে অপহরণের বিচার পাইনি চার বছরেও। প্রভাবশালী মহলের ইঙ্গিতে এই ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। বিচার পাওয়া তো দূরের কথা, নিজেই হয়ে গেলাম মামলার আসামি। আনিসুজ্জামান রনির দায়ের করা দুটি মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে আজ চার বছর ধরে আমিসহ তিনজন সাংবাদিক হয়রানির শিকার। বর্তমানে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় নানা দুশ্চিন্তা ও হতাশায় জীবনযাপন করছি। আমি বাঁচতে চাই। সুন্দর একটি জীবন চাই।’
২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই ও ইউসিবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখারকে প্রধান আসামি করে প্রকাশক আয়ান শর্মা ও স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক চট্টগ্রাম আদালতে দুটি মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথম অভিযোগে (নম্বর ১৫/২০) মানহানির জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। দ্বিতীয় ফৌজদারি মামলাটি (নম্বর ২১৭০/২০) মানহানি সংক্রান্ত। মানহানিকর বলে পরিচিত মুদ্রণের বিষয়, বা মানহানিকর বিষয় বিক্রয় সংক্রান্ত বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ধারা লঙ্ঘনের জন্য এই তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এই ধারাগুলোর প্রত্যেকটি আইন অনুসারে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং একটি অনির্দিষ্ট জরিমানা বহন করতে পারে।
এমআর/জেডএস