নির্দোষ সদস্যদের মুক্তি ও বিডিআর নাম প্রতিস্থাপনের দাবি
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্ত ও বিচার করে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ঘটনায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা শহীদ সেনা অফিসার, শহীদ বিডিআর অফিসার ও সদস্যদের গেজেট আকারে শহীদ ঘোষণা, জাতীয়ভাবে শহীদ দিবস পালন ও স্কুল, কলেজের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করে শহীদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ঐক্য’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সেনা অফিসার ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ৯ দফা দাবি আদায়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বিডিআর সদস্য ও পরিবারের অন্য দাবিগুলো হলো— সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং শহীদ সেনা অফিসার ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর পরিবারের প্রতিনিধি তদন্ত কমিটিতে রাখতে হবে; নিরীহ বিডিআর সদস্যদের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করার জন্য সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো দল, গোষ্ঠী ও ব্যক্তিকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে তদন্ত রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে; নির্দোষ প্রতিটা বিডিআর সদস্যকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; পিলখানার ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা, যেসব বিডিআর কর্মকর্তা ও বিডিআর জওয়ানদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে; বিডিআর হত্যাকাণ্ডের কারণে সামরিক/বেসামরিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে; বর্তমান বুজিবিকে কোনো প্রকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না এবং বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) নাম প্রতিস্থাপন করতে হবে।
এমএইচএন/এসকেডি