সামনের মৌসুম থেকে চীনে আম রপ্তানি
চীনের বাজারে আম রপ্তানির সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। সামনের মৌসুম থেকে বেইজিংয়ে আম রপ্তানি শুরু করতে পারবে ঢাকা। এছাড়া কাঁঠাল, পেয়ারাসহ অন্য দেশীয় ফলও চীনে রপ্তানি করতে কাজ করছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, চীন আমাদের বড় ব্যবসায়ী অংশীদার। আলোচনায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রাধান্য পেয়েছে। চীন গত সপ্তাহে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ১০০ শতাংশ টেরিফ লাইন ঘোষণা করেছে। এর আগে ২০২২ সালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে এসে টেরিফ লাইন ৯৮ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জসীম উদ্দিন বলেন, চীনের বাজারে আম রপ্তানির সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। সামনের মৌসুম থেকে বেইজিংয়ে আম রপ্তানি শুরু করতে পারবে ঢাকা। আমের পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি কাঁঠাল, পেয়ারাসহ বেশকিছু বাংলাদেশি ফল চীনের বাজারে রপ্তানি করতে। চীন যেটা করে যে একটা একটা করে পণ্য ওদের বাজারে ঢুকতে দেয়। আমি দুই দেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে একসঙ্গে কয়েকটি পণ্যের প্রবেশাধিকার চীনের বাজারে চেয়েছি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন যে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সবার আগে চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। হংকং থেকে প্রথম বিনিয়োগ এসেছে। সব মিলিয়ে চীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এখন পর্যন্ত ৮ মিলিয়ন মার্কিন মুদ্রার সমপরিমাণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। আন্তর্জাতিক ফোরামগুলো ঢাকা-বেইজিং একসঙ্গে কাজ করবে। সামনে দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হবে। যা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া বন্যা সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা করতে চায় চীন। তারা একটি প্রস্তাবনাও পাঠিয়েছে। আমরা তাদের প্রস্তাবের বিস্তারিত জানতে চেয়েছি।
তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রসচিব।
এনআই/এমএসএ