চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ১০ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে শাস্তি পেয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ও সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফিরেছেন ১০ জন। এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুটি ফ্লাইটে ফিরেছিলেন ১২ জন। এ নিয়ে আরব আমিরাত থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন মোট ২২ জন।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর সকালে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে একজন, ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে শারজাহ থেকে দুজন এবং একই দিন সন্ধ্যায় এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে আবুধাবি থেকে আরও সাতজন চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন। এ পর্যন্ত আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া মোট ২২ জন চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সুখবরটি পান এবং জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, তাদের ক্ষমা করানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন তাদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে কথা হয়।
বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এমআর/এমএসএ