বনানী সোসাইটির ‘হর্ন বাজাবেন না’ প্রচারাভিযান
বনানী এলাকায় শব্দদূষণমুক্ত, সুন্দর ও শান্তিময় পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রোববার থেকে বনানী সোশ্যাল ইনিশিয়েটিভস-এর আয়োজনে ও বনানী সোসাইটির সহযোগিতায় সামাজিক সচেতনতা প্রচারাভিযান ‘হর্ন বাজাবেন না’ শুরু হয়েছে।
এই লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবীরা নো হর্ন লেখা বিভিন্ন রকমের সচেতনতামূলক স্টিকার, সাইনেজ, প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন; চালকদের অহেতুক হর্ন বাজানোর অভ্যাস
পরিবর্তন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, রিকশা, গাড়ি থেকে শুরু করে বনানীর প্রায় প্রতিটি যানবাহনেই পরিবর্তনের স্টিকার দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপনী সংস্থা এক্সপ্রেশানস লিমিটেডের পরিচালক, বিজ্ঞাপন নির্মাতা, বনানী সোশ্যালের অন্যতম উদ্যোক্তা ও বনানী সোসাইটির সদস্য আপন আহসান বলেছেন, বাংলাদেশ ২.০-তে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিটি সেক্টরকে সমৃদ্ধ করে গড়তে সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রয়োজন। চলমান অনেক সমস্যার মধ্যে শব্দদূষণ অন্যতম। শব্দদূষণ প্রতিরোধে ‘হর্ন বাজাবেন না’ উদ্যোগটি এখন সময়ের দাবি। রাস্তায় বের হলেই শোনা যায় হর্ন বজানোর প্রতিযোগিতা, ফুল-স্পিডে গাড়ি চালানোর সময় হর্ন, সিগন্যালে থাকা অবস্থায় হর্ন, সিগন্যাল ছাড়ার পরেও মোটরসাইকেল, বাস, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, সিএনজিসহ সব চালকেরা একযোগে হর্ন বাজাতে শুরু করেন। লক্ষ্য একটাই কে কাকে ওভারটেক করে এগিয়ে যাবেন। হর্নের আওয়াজ শুধু বিরক্তিকর নয়, আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলে। হর্নের উচ্চ আওয়াজকে অনেক সময় তুচ্ছ মনে হতে পারে। কিন্তু এটি একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা শ্রবণ শক্তির ক্ষতি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। অপ্রয়োজনীয় হর্নের শব্দ আমাদের হার্টের সমস্যা, কানে কম শোনা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, মনোযোগের অভাবে কাজ করার ক্ষমতা কমানোসহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে।
বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূইয়া দিলন ‘হর্ন বাজাবেন না’ প্রচারাভিযানের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা বনানী এলাকার সব বাড়ি, অফিস ভবন এবং তার চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
জেডএস