‘ইয়েস স্যারে’ ডুবেছেন ডুবিয়েছেন
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
কয়েক বছর ধরেই নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। গত দুই বছরে এ সংকট আরও গভীর হয়েছে। ডলারের তীব্র সংকট, ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট আর বিদেশে অর্থ পাচার অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণের মাত্রা কেবল জোরালো করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সাধারণ মানুষ রীতিমতো পিষ্ট হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে অর্থনীতির একটি ভালো চেহারা দেখানোর চেষ্টা হলেও তা জনজীবনে স্বস্তি আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সাড়ে ১৮ লাখ কোটি টাকার ঋণ রেখে বিদায় নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস: স্থবির অর্থনীতি সচলের চেষ্টা
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল, সংকট নিরসনে সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়া। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া এবং তা বাস্তবায়নে যে দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার দেখানোর প্রয়োজন ছিল, সেটিও করতে পারেনি সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার। বরং স্বজনতোষী বিভিন্ন পদক্ষেপ ও গোষ্ঠীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যস্ত ছিল এই সরকার, যার সুবিধা পেয়েছেন মূলত গুটিকয় ব্যবসায়ী আর ক্ষমতাসীনদের আত্মীয়–পরিজন। অনেকটাই বিকল হয়ে পড়েছিল পুরো অর্থনীতি।
ইত্তেফাক
বিপুল অস্ত্র এখনো বাইরে, বাড়ছে নিরাপত্তাসংকট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থানা থেকে লুট হওয়া প্রায় ২ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার করা যায়নি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, এসএমজি টি-৫৬, ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল গোলাবারুদ।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫ জন সন্ত্রাসীকে। এছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে লাইসেন্স পাওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি অস্ত্র নির্দিষ্ট সময়ে থানায় জমা পড়েনি।
বণিক বার্তা
প্রশাসন ক্যাডারের অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগে
আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করেন, তাদের একটা অংশ ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আর এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগই প্রশাসন ক্যাডার থেকে আসা। বিগত সরকারের সময় মাঠ প্রশাসন দলীয়করণের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতে তারা প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকর্তার একটি বড় অংশই আবার চাকরি জীবন শেষে সরাসরি যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদে বসার সুযোগও পেয়ে যান অনেকে।
দেশ রূপান্তর
‘ইয়েস স্যারে’ ডুবেছেন ডুবিয়েছেন
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার দু-একটি বাদে প্রায় সবগুলোই ছিল বিতর্কিত। ফলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে। অথচ সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা থাকার পরও বেশিরভাগ কমিশনই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি বা করেনি। পারেনি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে গিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই ফেলে দিয়েছে বিতর্কের মধ্যে। নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। এসব ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বহুল আলোচিত বিষয় হলো ক্ষমতা প্রয়োগের চেয়ে আনুগত্য দেখাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ছিল ইসি।
আরও পড়ুন
কালের কণ্ঠ
ঘুষ, দুর্নীতিসহ নানা অবৈধ উপায়ে দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটে নিয়ে একদল বিলাসী জীবন যাপন করছে কানাডার বেগমপাড়ায়, কেউ বা দুবাই, মালয়েশিয়ায়-সিঙ্গাপুরে।
দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সুবিধাবাদী আমলা, ক্ষমতার শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে এখন লাপাত্তা। একসময় ওই সব ‘সাহেব’ দেশে টাকা লুট করতেন, আর তা নিজেদের বউ-বাচ্চাদের ‘বেগমপাড়া’ কিংবা ‘সেকেন্ড হোমে’ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পাঠাতেন। এখন ওই ‘সাহেব’দেরও অনেকে ‘বেগম’দের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
সমকাল
সংস্কারের একাধিক উদ্যোগ, বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ
শেখ হাসিনার দেড় দশকের কট্টর শাসনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল দেশের মানুষ। তিন সপ্তাহের তুমুল আন্দোলন, বিপুল রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ৫ আগস্ট ভারতে পালান তিনি। এর পর তিন দিন কার্যত দেশ ছিল সরকারহীন।
৮ আগস্ট রাতে দায়িত্ব নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর দেশে নামে জনগণের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রত্যাশার ঢল। আইনশৃঙ্খলা, দ্রব্যমূল্য, আইনের শাসন, মানবাধিকার, রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ– সব খাতেই আমূল পরিবর্তনের দাবি আসতে থাকে একের পর এক। আকাশচুম্বী প্রত্যাশার চাপ নিয়ে কাজ শুরু করা অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস হলো আজ।
প্রথম আলো
চট্টগ্রামে গণেশপূজার মণ্ডপে ভাঙচুর
চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গী বাজার সেবক কলোনিতে গণেশপূজার মণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুর্বৃত্তরা পূজামণ্ডপে ভাঙচুর চালায়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গণেশপূজা ছিল শনিবার। সন্ধ্যায় ফিরিঙ্গী বাজার সেবক কলোনিতে পূজামণ্ডপে গিয়ে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় গণেশের মূর্তি সামনে থাকা পূজার ঘট ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
কালবেলা
স্কুলের শতকোটির জমি সভাপতিকে উপহার!
টঙ্গীর তুরাগে ঐতিহ্যবাহী কামারপাড়া হাই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশিম। সভাপতি থাকাকালীন স্কুলের নামে থাকা ১৬৪ শতাংশ জমির ওপর নজর যায় তার।
একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন বলে জমিটি কিনতে চান তিনি। এর জন্য চাপ দেন স্কুলের তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে। প্রধান শিক্ষক এতে রাজি না হওয়ায় তাকে নানা হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ভয়ে স্কুলই ছেড়ে চলে যান আমিনুল ইসলাম। এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান সহকারী শিক্ষক খুরশিদ জাহান।
এছাড়া আট ব্যাংকে টাকা রেখে বিপদে চট্টগ্রাম বন্দর; শিক্ষার্থীকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার; টাকা নিয়ে রোহিঙ্গা ঢোকাচ্ছে দালালরা; আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ভয়ংকর সংঘর্ষে মাদক কারবারিরা—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।