মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে চালু হবে আউটডোর
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে বন্ধ ছিল সেখানকার সেবাদান কার্যক্রম। এরপর রোববার রাতে জরুরি বিভাগে সেবাদান কার্যক্রম চালু হলেও বন্ধ ছিল বহির্বিভাগ। এবার বহির্বিভাগেও সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সীমিত পরিসরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মুখপাত্র নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ।
আরও পড়ুন
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের সাথে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন যে, চিকিৎসকদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখেছি। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসপাতালে হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যারা আছে তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঢামেক হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল হাসপাতালের ডেন্টাল কলেজে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে, আমাদের নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে রোববার সন্ধ্যা থেকে সব হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু হয়েছিল, সেগুলো চালুই থাকবে।
ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, আমাদের দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। আরেকটি দাবি হলো, হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে আইন প্রণয়ন এবং স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে সীমিত পরিসরে অর্থাৎ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে সেবাদান চালু থাকবে। সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত স্ব স্ব প্রতিস্থানে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। জরুরি বিভাগ চালুর পর সীমিত পরিসরে ইনডোরে সেবাদান করছি। এছাড়া, আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রেখেছি, এগুলো চালু থাকবে।
ডা. আবদুল আহাদ আরও বলেন, সমস্ত জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকদের ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাদেরও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এসএএ/কেএ