তারাও তো মা
মা ডাকে মধু, মা ডাকে তৃপ্তি। পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দটি আমাদের যেভাবে তৃপ্তি দেয় তা আর অন্যকিছুতে পাওয়া সম্ভব না।
মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতিদিনের। এর জন্য লাগে না দিবস, দরকার হয় না ক্ষণের। মা ডাকটিইতো ভালোবাসায় ভরপুর। যদিও প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী মা দিবস হিসেবে পালিত হয়। মানুষও দিনটিকে কেন্দ্র করে মাকে একটু বেশিই ভালোবাসেন।
মা পৃথিবীর সব মানুষের কাছে এক আস্থা, ভালোবাসা, নির্ভরতা ও নিশ্চয়তার চিরস্থায়ী ঘর। মা রাজপ্রাসাদে থাকুক আর রাস্তায় থাকুক মা-তো মা-ই। যার হৃদয় কোমলতা আর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। সন্তানের জন্য যিনি ভাঙা পায়েও দাঁড়িয়ে বলতে পারেন আমি দৌড়াতে প্রস্তুত।
জীবনযুদ্ধে সংগ্রাম করা মায়েরাও নিজ সন্তানকে আগলে রাখেন বুকে। আঁচ লাগতে দেন না নিজেদের জীবন-সংগ্রামের উত্তপ্ত পথের সেই তাপ। কেননা তারাওতো মা।
রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাস্তায়-খোলা জায়গায় দিন যাপন করা এমনই কিছু মা-কে প্রতিনিয়তই দেখা যায়। সন্তানকে আগলে রাখা এসব মায়ের ছবি ফ্রেমবন্দি করেছেন ঢাকা পোস্টের সুমন শেখ।
তাদেরই একজন ফুলের মালা বানিয়ে বিক্রি করা রাজিয়া বেগম। মালা বানাতে মা-কে সাহায্য করছে পাশে বসে থাকা ছোট্ট অপু। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ছবিটি তোলা।
রাস্তার পাশে অভাবে দিনযাপন করা এসব মায়েদের নুন আনতে পান্তা ফুরালেও সন্তানের জন্য ভালোবাসা কখনও কমে না। দিব্যি বুকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ লাগিয়ে বলেন, তুই আমার চোখের মণি, তুই আমার সাত রাজার ধন। কেননা তারাওতো মা।
এফআর