ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে কাকরাইলে ঝটিকা মিছিল
রাজধানী রাস্তায় ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ ৭ দাবিতে কাকরাইল সড়ক অবরোধ করে ঝটিকা মিছিল করেছেন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে কাকরাইল মোড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রমনা থানা পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সরে যান রিকশা চালকরা।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজধানীর সড়কে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ ৭ দাবিতে অল্প সময়ের দাঁড়িয়েছিল। খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানোর আগেই কাকরাইল সড়কে ঝটিকা মিছিল করে সরে যান প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। ফলে রাস্তায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি।
এরআগে রাজধানী রাস্তায় ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করাসহ ৭ দাবিতে গত ২৬ আগস্ট সকালে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে বৃহত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট ব্যানারে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা।
ঐক্যজোটের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে রিকশা মালিকানা নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।
এছাড়া এককালে রিকশা বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে (নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ি) এর মতো রিকশাকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব বীর নিহত হয়েছেন ও যারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদেরকে বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজদের অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে পরিবারকে পূণর্বাসন ও আহতদের সু-চিকিৎসা প্রদান করতে হবে এবং বিগত সরকারের সময়কালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সরকার দলীয় চাঁদাবাজরা আধিপত্য বিস্তার করে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিশেষ পোশাকে রিকশা পরিচালনা করে আসছিল, সেসব রিকশাগুলোকে বন্ধ করে, পায়ে চালিত বৈধ রিকশাকে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
জেইউ/পিএইচ