হত্যার ঘটনা তদন্তে সরকারের অবস্থান তুলে ধরলেন তৌহিদ হোসেন
ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৫০তম কাউন্সিলে সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একইসঙ্গে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডসহ সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্ডে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সেশনে দেওয়া বক্তব্যে এসব বিষয় তুলে ধরেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২৯-৩০ আগস্ট ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্ডে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৫০তম কাউন্সিল সেশনে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন
এ বছর ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৫০তম কাউন্সিল ‘ইন্ট্রা ওআইসি পরিবহন এবং যোগাযোগ অবকাঠামো’ থিম নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। কাউন্সিলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির গতি বজায় রাখতে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি’- নামে একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলপূর্বক গুম হওয়া থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষা সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশনে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ওআইসির সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা এবং ফিলিস্তিনের জন্য শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা, ইসলামোফোবিয়া, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-অপরাধের নিন্দা এবং পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো শক্তিশালী করে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এদিকে, ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৫০তম কাউন্সিল সেশনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার বিষয়ে ওআইসি অ্যাডহক মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রাখাইন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এনআই/এমএ