নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে ‘পে কমিশন’ গঠনের দাবি
বৈষম্যহীন ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য পে কমিশন গঠন করা ও পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান পরিষদের সমন্বয়ক মো. ছালজার রহমান।
পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে–
১. সচিবালয়ের ১৯৯৫ সালের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও হিসাবরক্ষক এবং ষাটলিপিকারসহ সমপদগুলোর পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করে যথাক্রমে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/ব্যক্তিগত কর্মকর্তা নামকরণসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
২. ২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে হরণ করা তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল এবং সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের জায়গায় ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন
৩. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক ওই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
৪. ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সব পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এ ছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দিতে হবে।
৫. বাজারমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে দেয় সব ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের রেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
৬. উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইম স্কেল এবং সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে গত ২০০৮ সালের ২৪ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বৈষম্যমূলক আদেশ বাতিল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী, সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
এমএইচএন/এসএসএইচ