‘হজের বিমান ভাড়া নির্ধারণে হাব সিন্ডিকেটের অভিযোগ কাল্পনিক’
হজের বিমান ভাড়া বাড়ানোর সিন্ডিকেটে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) জড়িত বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যে প্রচারণা চলছে, তা কাল্পনিক বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
তাদের দাবি, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে। হজের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য হজযাত্রী পরিবহন উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য হাব বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে আসছে। ফলে বিমান ভাড়া নির্ধারণে এমনকি এ ব্যাপারে এখানে হাবের সিন্ডিকেটের অভিযোগ একেবারেই কাল্পনিক।’
শনিবার (১৭ আগস্ট) হাবের মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
এতে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মুখে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই একটি কুচক্রী মহল হারেব বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার লিপ্ত রয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। হাব একটি অরাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের অলাভজনক সংগঠন হিসেবে কাজ করে আসছে। এটি আল্লাহর মেহমান হাজীদের সেবায় নিয়োজিত। নিয়ম অনুযায়ী তাদের সরাসরি ভোটে হাবের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়ে আসছে। এখানে কখনো দলীয় বিবেচনা কোনো সময়ই প্রাধান্য পায় না। হাবের বর্তমান কমিটিও এর ব্যতিক্রম নয়।’
‘ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হজ প্যাকেজ মূল্যের আলোকেই হাবের হজ প্যাকেজ ঘোষিত হয়ে থাকে। এই প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণের সময় মতামত দেওয়া ছাড়া হাবের আর কোনো ভূমিকা থাকে না। হাব বরাবরই হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ কমিয়ে হজ প্যাকেজ মূল্য কমানোর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোরালো অনুরোধ জানিয়ে থাকে। হজের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য প্রতি বছরই হাব জোর দাবি জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সই বিমান ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে।’
‘হজের বিমান ভাড়া কমানোর জন্য হজযাত্রী পরিবহন উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য হাব বছরের পর বছর দাবি জানিয়ে আসছে। ফলে বিমান ভাড়া নির্ধারণে এমনকি এ ব্যাপারে এখানে হাবের সিন্ডিকেটের অভিযোগ একেবারেই কাল্পনিক। হজের ব্যয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে হাবের অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগই নেই। কোনো এজেন্সি সরকার ঘোষিত প্যাকেজ মূল্য ও তার আলোকে হাব ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের আলোকে প্যাকেজ মূল্য নিয়ে হজযাত্রীদের সাথে কোনো অনিয়ম করে থাকলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। হাবও এই ধরনের অভিযোগ পেলে এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘হজযাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে হজে যেতে পারে তার জন্য দেশে হাবের তদারকি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে থাকে। মক্কা-মদিনায় হজযাত্রীদের সেবায় হাবের টিম কাজ করে থাকে। ফলে গত কয়েক বছরে হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ অনেক কমে এসেছে। কিছু এজেন্সি বিরুদ্ধে কখনো কখনো অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
হাব আরও দাবি করে, ‘প্রতারণার শিকার হয়ে কোনো হজযাত্রীর হজ যাত্রায় অনিশ্চয়তা দেখা দিলে হাব সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীকে পাঠানোর জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এই কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতারণার শিকার হয়ে হজে যেতে না পারার অভিযোগ নেই বললেই চলে। হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কারণে হাব বিভিন্ন মহলে যেখানে প্রশংসিত, সেখানে হাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’
এনএম/কেএ