ফেরি চলাচল বন্ধ : কীভাবে পার হবে অ্যাম্বুলেন্স?
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিধিনিষেধে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা ঠেকাতে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এমন সিদ্ধান্তে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা হবে, এ নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে জনমনে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম শনিবার (৮ মে) ঢাকা পোস্টকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার ক্ষেত্রে ফেরি চলাচল বন্ধ নেই, এগুলো পারাপার হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
বিষয়টি দেখভালের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি) কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ফেরি যাত্রী পরিবহনের জন্য নয়, যানবাহন পরিবহনের জন্য। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন সবাই যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ করুন। কিন্তু কিছুতেই শুনছেন না, কত বেপরোয়া মানুষ...’
এর আগে বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শনিবার থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চলবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শুক্রবার সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিতে কোনো যানবাহন উঠতে পারেনি।
এদিন সকাল ৮টার দিকে ফেরি (এনায়েতপুরী) কোনো যানবাহন ছাড়াই ১২শ যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেরিটি শুধুমাত্র যাত্রী নিয়েই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে পোঁছায়।
এসএইচআর/এমএইচএস