ড. ইউনূসের বাসভবনের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুই থেকে তিনশ’ পুলিশ সদস্য ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবেন সাবেক উপপুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ, জাকির হোসেন, কনস্টবল মো. শাকিল মোল্লা ও মজিদুল হক। এই চারজনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন এবং নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দুর্নীতিবাজ অফিসারদের অবৈধ আদেশ প্রতিপালন না করায় রোষানলে পড়ে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত হই। এমতাবস্থায়, আমরা অনেকে নিম্ন পদস্থ পুলিশ সদস্য হওয়ায়, পরিবার পরিজন ও সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। সামাজিক ভাবেও আমরা হেয় প্রতিপন্নের শিকার হয়েছি। অন্যায়ভাবে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট কারণ দেখিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
স্বৈরাচারী সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যদের স্ব-পদে চাকুরিতে বিদ্যমান বিবেচিত করে সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এবং সিনিয়রিটি প্রদানপূর্বক প্রত্যেককে স্ব-স্ব পুলিশ ইউনিটে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে চাকরিতে পুনর্বহালের সু-ব্যবস্থা করার জন্য আপনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
চাকরির অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আমাদের মাঝে অনেকেই প্রশাসনিক ও প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ হারানো চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আদেশ প্রাপ্ত হয়ে আছে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও বিজ্ঞ প্রশাসনিক আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, অনেককে মামলা না করার জন্য হুমকি ও ভয়-ভীতির মাধ্যমে
মামলা করা হতে বিরত রাখা হয়েছে। আমাদের মাঝে কেউ কেউ অর্থের অভাবে যথাসময়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি মামলা পরিচালনা করার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন সেটি বহন করার সক্ষমতা ও আজকে অনেকের মাঝে নেই।
তারা আরও বলেন, সেই সঙ্গে আদালতের রায়কে বাস্তবায়নের পরিবর্তে পুলিশ হেডকোয়ার্টার কর্তৃক স্ব-প্রণোদিত হয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল, লিভ-টু-আপিল, রিভিউ করে সরকারের সময় ও অর্থকে অপচয় করে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়ার সময়সীমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে দীর্ঘায়িত করার যে ব্যাড প্র্যাকটিস রয়েছে, সেটি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এমএসআই/কেএ