আসছেন ড. ইউনূস, বিমানবন্দরের সামনে অপেক্ষায় হাজারো মানুষ
শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবেন। তার আসার খবর আগেই ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। যে কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই প্রধানকে সংবর্ধনা দিতে দলে দলে হাজারো মানুষ আগেই থেকেই বিমানবন্দরের সামনে ভিড় করেছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) তিনি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
এদিকে বিমানবন্দরের সামনে ড. ইউনূসকে সংবর্ধনা জানাতে সারিবদ্ধভাবে মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ এসেছেন পতাকা-ব্যানার নিয়ে, কেউবা ফেস্টুন, কারও হাতে ফুল। কেউ হাততালি দিয়ে যাচ্ছেন। শুভেচ্ছা স্বাগতম স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো এলাকা।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বেশ কয়জন শিক্ষার্থী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই প্রধানকে সংবর্ধনা জানাতে এসেছেন বিমানবন্দরে সামনে। তাদের মধ্যে একজন রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে দেশে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। আর দেশের নতুন সরকার প্রধান হতে যাচ্ছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যাকে নিয়ে সবার মধ্যে একটা নতুন আশা জাগ্রত হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনি দেশে আসছেন, এই খবরে আর ঘরে থাকতে পারিনি। ওনাকে স্বাগত জানাতে, সংবর্ধনা দিতে বিমানবন্দরের সামনে ছুটে এসেছি আমি সহ হাজার হাজার মানুষ।
সংবর্ধনা জানাতে বিমান বন্দরের সামনে আসা আরেক ব্যক্তির নাম জুবায়ের আহমেদ। তিনি বলেন, আমি কখনই কোনো রাজনীতি করিনি। কিন্তু দীর্ঘ বছর নানান অরাজকতা দেখেছি। আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিবর্তন দেখতে চাই। যেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ড. ইউনূসের দেশ পরিচালনার নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে। বিশ্বব্যাপী এই মানুষটি সম্মানী ব্যক্তি, যিনি আজ থেকে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন। যে কারণে ওনার দেশে আসার খবর জেনে, এখানে এসেছি ওনাকে স্বাগত জানাতে।
বুধবার ইউনূস সেন্টার থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গণবিক্ষোভের মুখে গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। এখন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এএসএস/টিআই/জেডএস