সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ, পুলিশসহ নিহত ৮৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে প্রচুর প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকায় ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ১৯ জন, ফেনীতে ৮ জন, রংপুরে ৪ জন, নরসিংদীতে ৬ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, বগুড়ায় ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, শেরপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, সিলেটের গোলাপগঞ্জে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, মাগুরায় ৪ জন, বরিশালে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন, ভোলায় ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন ও জয়পুরহাটে ২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
রোববার (৪ আগস্ট) দিনব্যাপী সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুবিন মিয়া (২৮) নামের এক যুবক মারা গেছেন। নিহত মুবিন মিয়া সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল গ্রামের দিলু মিয়া ছেলে।
হবিগঞ্জে সংঘর্ষে একজন নিহত
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রোববার রিপন শীল (২৭) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তার চোখের ওপর গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তিনি শহরের ইনাতাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
কেরানীগঞ্জে একজন নিহত
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে রোববার দুপুরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় অফিসের ভেতর আটকা পড়ে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. ইফতি (৩২) নামের একজন নিহত ও প্রায় ১৫ জন আহত হন।
কক্সবাজারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ.লীগের সংঘর্ষ, নিহত ১
কক্সবাজার শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও ৯ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহীদ সরণি সড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ভোলায় ডিসি অফিস, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন: নিহত ১
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে ভোলায় ত্রিমুখী সংর্ঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম উদ্দিন (৪০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টায় ভোলা জেলা শহরের চকবাজার এলাকায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ সবুজ। নিহত জসিমউদ্দিন ভোলা পৌর নবীপুর এলাকার তালুকদার মসজিদ গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ভোলার নতুন বাজারে ছাতা মেরামতের কাজ করতেন।
বগুড়ায় পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৪
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার এ ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে দুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮০ জন।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। এছাড়া আরও একজন দুপচাঁচিয়ায় মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বীরকেদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
নিহতের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন– নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলাম (২২) ও গাবতলী উপজেলার জিল্লুর রহমান।
শেরপুরে সংঘর্ষে নিহত ৩
শেরপুর জেলা শহরে আজ একাধিক স্থানে আন্দোলনকারী, আওয়ামী লীগ এবং পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত পক্ষে ৩০ জন।
এদিকে শহরের তিনআনী বাজার মোড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রশাসনের টহল গাড়ি উঠিয়ে দিলে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হচ্ছেন, আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের ছাত্র ও জেলা শহরের বাগরাকশা মহল্লার বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবক জেলা সদরের পাকুড়িয়া চৈতনখিলার মাহবুব (২২)। অন্য একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঢামেকে ৫ জনের মরদেহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারী, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মরদেহ আনা হয়।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী (২৩), ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রমিত উদ্দিন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী তোহিদুল ইসলাম। এছাড়া বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
উত্তরায় সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা নিহত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. হাবিব হাসান।
ধামরাইয়ে অজ্ঞাত যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ
ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞাত এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও আরও একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহটি ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইডি বিজয় বসাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রায়গঞ্জে সাংবাদিকসহ নিহত ৬
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন রায়গঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান।
নতুন তথ্য পাওয়া নিহত দুজন হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদি হাসান ইলিয়াস ও ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনিয়ান টিটু। এর আগে মারা যাওয়া চারজন হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার সাংবাদিক প্রদীপ কুমার।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের এক দফাকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ শহরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবদল নেতাসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তথ্যটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। যা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ আদালত এলাকায় ভাঙচুরসহ একাধিক থানা ও সদর এসিল্যান্ড অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরি, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়িসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ও স্থাপনায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজওয়ানুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৃত্যুর বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে আদালত এলাকায় হামলা-ভাঙচুর, সদর এসিল্যান্ড অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় ও এনায়েতপুর থানায় আগুন, শাহজাদপুর ও বেলকুচি থানা এবং শহরের ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ঝিগাতলায় গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত
রাজধানীর ঝিগাতলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী (২৩)। তিনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিবিএর ছাত্র। তিনি রায় শাহ বাজার সূত্রাপুর এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ড. আলাউদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার বুকের ডান পাশে গুলি লেগেছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আমরা তাকে মৃত ঘোষণা করি।
ফেনীতে নিহত ৮
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচিতে সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আরও দেড় শতাধিক। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সদর উপজেলার বারাহীপুর এলাকার ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২০), পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (২১), সোনাগাজীর চর মজলিশপুর মান্দারি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাকিব (২২), আরাফাত, দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর জয়লস্কর এলাকার মো. শাহজাহানে ছেলে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সরোয়ার জাহান মাসুদ (২১), লক্ষ্মীপুরের মালেকের ছেলে অটোরিকশা চালক সাইফুল। অপর একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রংপুরে কাউন্সিলরসহ নিহত চার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে রংপুরের রাজপথে মানুষের ঢল নামে। রোববার (৪ আগস্ট) সিটি বাজার এলাকার কাছাকাছি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধান হারা ও তার ভাগনেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্দার আব্দুল জলিল ও মিজানুর রহমান মিজান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, দুজনের মরদেহ হাতে পেয়েছেন। তবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
অন্যদিকে, কাউন্সিলর হারাধান হারা ও তার ভাগনেকে কুপিয়ে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৯ বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু।
নরসিংদীতে ছয়জন নিহত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুযায়ী নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে মাধবদী বাজার বড় মসজিদের অজুখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে বিকেলে মাধবদীর পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনা সত্য।
লক্ষ্মীপুরে আটজন নিহত
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের আটজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন আন্দোলনকারী ও চারজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) রাত ১০টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে উভয়পক্ষের শতাধিক আহত হয়েছেন।
জানা যায়, নিহতদের মধ্যে চারজনের মরদেহ শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসার সামনে পড়ে ছিল কয়েকঘণ্টা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরদেহগুলো উদ্ধার করতে ঘটনাস্থল যায়। নিহত চারজন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে একজন সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও টুমচর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) হারুনুর রশিদ, অন্যজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান টিপুর গাড়িচালক রাসেল। বাকি দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাসভবনের ছাদের ওপর থেকে চেয়ারম্যান টিপু ও তার লোকজন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে কয়েকজন মারা গেছেন। শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
পাবনায় তিন শিক্ষার্থী নিহত
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীরা পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (১৯), মাহবুুবুল হোসেন (১৬) ও ফাহিম (১৭) নিহত হন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে অবস্থান করছেন।
মুন্সীগঞ্জে গুলিতে তিনজন নিহত
সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে মুন্সীগঞ্জ শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরহাজী (৩৮)। তিনি শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার প্রয়াত কাজী মতিন ফরহাজীর ছেলে। একই এলাকার মো. সজল (৩০) এবং ডিপজল সর্দার। তাদের মধ্যে রিয়াজুল ও মেহেদী ঘটনাস্থলে এবং সজলকে হাসপাতাল নেওয়ার পথে মারা যায় বলে জানান তার স্বজনরা।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা জামাল বলেন, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন মৃত ছিলেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান এই চিকিৎসক। এ ছাড়াও গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে নিহত দুই
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সময় গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- ধারাবাহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩) ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)।
কুমিল্লায় পুলিশ ও বাসচালক নিহত
কুমিল্লায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে কুমিল্লার দেবিদ্বারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দেবিদ্বার। সংঘর্ষে মো. রুবেল (৩৪) নামের এক বাসচালক নিহত হন।
দুপুর দেড়টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলা চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রুবেল উপজেলার বারেক এলাকার বাসিন্দা ও প্রান্তি বাসের চালক ছিলেন। দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এহসান আলী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, রোববার দুপুরে দাউদকান্দির গোমতা এলাকার ইলিয়টগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ থানা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিক্ষোভকারীরা এরশাদ মিয়া নামের হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবলকে পিটিয়ে আহত করে। পাশাপাশি হাইওয়ে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আহত এরশাদ মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরায় সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ নিহত ৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে মাগুরা সদর ও মহম্মদপুর উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) দিনভর চলা সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী (২৮), শ্রীপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফার ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন (২৫), মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে সুমন শেখ (২৮) এবং মহম্মদপুর সদরের ইউনুস আলীর ছেলে আহাদ মোল্যা।
মাগুরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমর প্রসদ তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলি ও বিক্ষোভকারীদের ইট-পাথরের আঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চার পুলিশ সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক রাশেদ খান, করতোয় পত্রিকার সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম সবুজ ও এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমরুল ইসলাম রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক দফা দাবি এবং অবরোধের সমর্থনে মাগুরা শহরের পারনান্দয়ালী এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে ব্যাপারী পাড়া মোড়ে ব্রিজের ওপর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হন। একই স্থানে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ফরহাদ হোসেনের।
অপরদিকে মাগুরার মহম্মদপুর সদরে বিক্ষোভকারীরা থানায় হামলা চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আহাদ মোল্যা এবং সুমন শেখ।
এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর এবং মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং শতাধিক মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পুলিশ আন্দোলকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ারশেল, গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে।
বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
বরিশালে টুটুল চৌধুরী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এএসএম সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আর আঘাতগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে মাথার খুলির ভেতরে থাকা অনেককিছুই বাইরে বের হয়ে গেছে। এক কথায় রক্তক্ষরণ ও মাথায় আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত টুটুল চৌধুরী বরিশাল মহানগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ দিপু।
জয়পুরহাটে নিহত দুই
জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুজ্জামান রহিম (৫২) ও শিক্ষার্থী নজিবুল সরকার বিশাল (১৮)।
রোববার দুপুরে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হন নজিবুল সরকার বিশাল। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর এলাকার মজিদুল সরকারের ছেলে। পাঁচবিবির বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন বিশাল। অপরদিকে, সংঘর্ষে গুরুতর আহত হলে রফিকুজ্জামান রহিমকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যার দিকে তিনি মারা যান।
এছাড়া, কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সকালে শাহবাগে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আন্দোলন চলাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেতরে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। উত্তরা, প্রগতি সরণি, শাহবাগেও অন্দোলনকারীরা অবস্থান করেছেন।
জেডএস