শাহবাগ ছেড়ে মিছিল নিয়ে ফের সায়েন্সল্যাবে শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর শাহবাগ ৩০ মিনিট অবরোধ করে রেখে ফের গণ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাবের দিকে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিতে শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টায় গণমিছিল শুরু হয়। এ সময় গণমিছিলে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এদিন দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর সায়েন্সল্যাব মোড়ের অবরোধ ছেড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। পরে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তারা শাহবাগ ছেড়ে গণ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাবে যান।
এর আগে এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে উভয় পাশের যানচলাচল।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন- ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘এক-দুই-তিন-চার, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘ভুয়া ভুয়া, পুলিশ ভুয়া’।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির ও গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি ঘোষিত কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
আরএইচটি/এমএসএ