সায়েন্সল্যাব ছেড়ে শাহবাগের পথে আন্দোলনকারীরা
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ছেড়ে শাহবাগে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে সায়েন্সল্যাবে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হন তারা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল ঘিরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশ, শিক্ষার্থী এবং সরকার দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা ত্রিমুখী অবস্থান তৈরি হয়। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে, পুলিশ এলিফ্যান্ট রোডে এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে অবস্থান নেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন
সায়েন্সল্যাবের গণমিছিলে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
কিন্তু এর জবাব ও বিচার না নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলনকে থামাব না। জাতির এই দুর্দিনে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকলের স্মরণে শুক্রবার দেশব্যাপী ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।”
নির্বিচারে হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার (২ আগস্ট) মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির ও গির্জাসহ সকল উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রমিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, বুদ্ধিজীবী, আলেম-ওলামাসহ বাংলাদেশের সব স্তরের নাগরিকদের প্রতি ঘোষিত কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের প্রেরিত এক বার্তায় শুক্রবার সারা দেশে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ নামে নতুন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, “আপনারা জানেন আমরা আমাদের কোনো ব্যক্তি-স্বার্থের জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আন্দোলন আপনার ও আপনার সন্তানের মুক্তির জন্য। কী অপরাধ ছিল আমাদের? সাংবিধানিক অধিকার চাওয়াটা কি আমাদের অপরাধ? কী অপরাধে শত শত ভাইদের হত্যা করা হলো? আমরা এর জবাব জানি না।
আরএইচটি/এসকেডি