রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কদমতলী ও কামরাঙ্গীরচর থেকে নারীসহ তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তারা হলেন, কদমতলীর মাহি (২০), যাত্রাবাড়ির আয়েশা বেগম (২৪) ও কামরাঙ্গীরচরের টিপু সুলতান (২৫)।
কদমতলীর খানকা শরীফ রোড থেকে মাহিকে ঢামেক মর্গে নিয়ে আসা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাত রেহানা বলেন, মাহি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। পরিবারের সবার কথাই সে হঠাৎ করেই রেগে যেতেন। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটি করে বারান্দার বেলকনিতে গিয়ে ছিটকিনি লাগিয়ে বসে থাকেন। পরে অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে দেখে বারান্দার গ্রিলের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন মাহি। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।
পৃথক অন্য আরেক ঘটনায় দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর আয়েশা বেগমকে ঢামেক মর্গে নিয়ে আসা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার বলেন, গতকাল রাতে স্বামী স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের ধরে ঝগড়া হয়। পরে তিনি নিজ রুমে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকেন। আমরা খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।
এদিকে অন্য আরেক ঘটনায় কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট থেকে টিপু সুলতানকে মর্গে নিয়ে আসা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার স্বপ্না বলেন, কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে টিপু সুলতান। পারিবারিক কলহের জেরে নিজ ঘরের ভিতরে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকেন। পরে পরিবারের লোকজন ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। পরে আমরা খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।
তিন থানার উপ-পরিদর্শকরা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে।
এসএএ/পিএইচ